Homeসব খবরআন্তর্জাতিকমেনে নেয়নি পরিবার, পালিয়ে বিয়ে করলেন পপি-প্রতিমা

মেনে নেয়নি পরিবার, পালিয়ে বিয়ে করলেন পপি-প্রতিমা

পপি মণ্ডল এবং প্রতিমা বিশ্বাসের মধ্যে কয়েক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এর মধ্যে পপির বাড়ি বামনগোলা থানার নালাগোলা এলাকায়। অপরজনের বাড়ি কালিয়াচক থানা এলাকায়। দুই মহিলা জানিয়েছেন, ফোনেই তাদের আলাপ।

একজনের নাম পপি মণ্ডল, আরেক জনের নাম প্রতিমা বিশ্বাস। নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে দুজনেই মেয়ে। তবে এই দুজনেই দীর্ঘদিন ধরেই একে অপরের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন। অবশেষে বাড়ির অমতে গিয়ে একে অপরকে মালা পরিয়ে সিঁদুর দান করে বিয়ে করলেন। আর সেই গোটা ঘটনার সাক্ষী থাকলেন বহু মানুষ। প্রথমে অনেকেই ভেবেছিলেন যে সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য কোনও ভিডিয়ো শুট করা হচ্ছে। কিন্তু, তাদের ভুল ভেঙে যায়। সত্যি করেই একে অপরকে বিয়ে করলেন ২ যুবতী। ঘটনাটি মালদার ইংরেজবাজারের। সেখানে মেডিক্যাল কলেজ সংলগ্ন হ্যান্টা কালী বাড়ি মন্দিরে একে অপরকে বিয়ে করেন দুই যুবতী। ওই এলাকায় অসংখ্য মানুষ ভিড় জমান। বিয়ের ঘটনাকে ঘিরে ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

জানা গিয়েছে, পপি মণ্ডল এবং প্রতিমা বিশ্বাসের মধ্যে কয়েক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এর মধ্যে পপির বাড়ি বামনগোলা থানার নালাগোলা এলাকায়। অপরজনের বাড়ি কালিয়াচক থানা এলাকায়। দুই মহিলা জানিয়েছেন, ফোনেই তাদের আলাপ। এরপরেই তাদের মধ্যে প্রথমে বন্ধুত্বের সম্পর্ক এবং পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু, দুই যুবতী ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হলে কি হবে? পরিবারের লোকজন লোক লজ্জার ভয়ে তাদের সেই সম্পর্ককে কোনওভাবেই মেনে নেয়নি। দুই যুবতীই নিজেদের পরিবারকে একে অপরের সম্পর্কে জানিয়েছেন এবং তাদের রাজি করানোর চেষ্টা করেছেন। আবার একে অপরকে ছেড়েও থাকতে পারছিলেন না দুই যুবতী। তাই পরিবারের হতে বাড়ি থেকে পালিয়ে বুধবার গভীর রাতে মালদহের ইংরেজবাজার শহরের হ্যান্টা কালী বাড়ি মোড়ে ওই দুই যুবতী সিঁদুর পরিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

প্রতিমা বিশ্বাসের কথায়, ‘আমরা পরিবারকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু, আমাদের পরিবার এই সম্পর্ককে মান্যতা দিতে রাজি হয়নি। তাই আমরা পালিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিই।’ দুজনেই জানিয়েছেন, আপাতত তারা ভাড়া বাড়িতেই থাকবেন। পেট চালানোর জন্য কোনও একটা কাজ জোগাড় করে নেবেন। পপি মণ্ডলের কথায়, ‘এত বড় পৃথিবীতে কোথাও না কোথাও ঠিক কাজ জোগাড় হয়ে যাবে। শপিং মল আছে আরও অনেক জায়গা আছে। আমরা শিক্ষিত কাজ জোগাড় করতে অসুবিধা হবে না।’

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।

Advertisement