Homeসব খবরজেলার খবরগরমকে পুঁজি বানিয়ে ক্রেতাদের পকেট কাটছে ডাব ব্যাবসায়ীরা

গরমকে পুঁজি বানিয়ে ক্রেতাদের পকেট কাটছে ডাব ব্যাবসায়ীরা

প্রচন্ড তাপদাহে পুড়ছে দেশ, বেঁচে থাকায় দায় হয়ে পড়েছে। দেশে একদিনে সর্বোচ্চ ১৮ জনের হিট স্ট্রোকের ঘটনা ঘটেছে, জারি করা হয়েছে হিট এলার্ট। তৃষ্ণা নিবারণের জন্য মানুষ ঝুঁকছে ডাব ও কমলপানীর দিকে। তবে,গরমের রেকর্ডের সাথে সাথে রেকর্ড গড়েছে ডাবের দামেরও। এক কথায় বলতে গেলে, গরমকে পুঁজি করে ক্রেতাদের পকেট কাটছেন ডাব ব্যাবসায়ীরা। রাজধানীতে বড় আকারের ডাবের দাম উঠেছে ১৭০ টাকা। ছোট আকারের কচি ডাব কিনতে গেলেও ১০০ টাকার নিচে মিলছে না!

গত বৃহস্পতিবার (২ মে) রাজধানীর নিউমার্কেট, আজিমপুর,কাঁটাবন, ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ আশেপাশের বেশ কিছু এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। সরেজমিনে দেখা যায়, মাঝারি বা একটু বড় আকারের ডাব বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ১৫০-১৭০ টাকা যার দাম গত সপ্তাহেও ছিল ১১০-১৩০ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যাবধানে দাম বেড়েছে পিস প্রতি ২০-৪০ টাকা আর ছোট আকারের ডাব বিক্রি হচ্ছে পিস প্রতি ১২০-১৪০ টাকা যার দাম গত সপ্তাহেও ছিল ১০০-১১০ টাকা।

বিক্রেতারা জানান,পাইকরি দাম বেশি রাখা হচ্ছে আবার কিনে আনতেও তাদেরকে অনেক বেগ পোহাতে হচ্ছে। তবে,ক্রেতারা জানান, গরম বেশি হওয়ায় ডাবের চাহিদা বাড়ায় তাদের কাছে বেশি দাম রাখা হচ্ছে। নিউমার্কেটের ১নং গেটের পাশেই ভ্যান থেকে ডাব কিনছিলেন তৌকির আহমেদ। মাঝারি আকারের দুটি ডাব তার কাছ থেকে ২৮০ টাকা রেখেছেন বিক্রেতা। সেখানে দৈনিক জনবাণীর সঙ্গে কথা হয় তৌকিরের। তিনি বললনে, দুইটা ডাব দুইশ আশি টাকার কমে বিক্রি করতে রাজি হচ্ছিল না। অনেক বোঝানোর পরও দশটা টাকা কম দিতে চাইলাম, কিন্তু রাজি হইল না। এত দাম রাখার কারণ জানতে চাইলে ভ্রাম্যমাণ ডাব ব্যবসায়ী বলেন, মামা, চাহিদা বেশি; আমাদেরও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।

তোহিদুল ইসলাম তুহিন নামে আরেক এক ক্রেতা বলেন, আমাদের দেশে ব্যবসায়ীরা সুযোগ পেলেই দাম বাড়িয়ে দেয়। গরমে ডাবের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি। তারপরও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মায়ের জন্য ১৪০ টাকায় একটি ডাব কিনেছি। দাম যেমনই হোক না কিনে তো আর পারি না।

রাজধানীতে নোয়াখালি,লক্ষীপুর, বরিশাল, ভোলা, বাগেরহাট,যশোর এলাকা গুলো থেকে বেশিরভাগ ডাব আসে। লালবাগ সেকশনের ডাব ব্যবসায়ী মো. ইব্রাহিম বলেন, গরমে গত কয়েকদিন স্বাভাবিক সময়ের বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে ডাবের সংকট থাকায় দাম কিছুটা বেশি। আমরা খুচরা পর্যায়ে সাধারণত কেনা দামের চেয়ে কিছু বেশি দামে বিক্রি করি। খুচরা পর্যায়ে দাম বৃদ্ধির সঙ্গে আমাদের কোনো হাত নেই।

Advertisement