Homeঅন্যান্যগরু ‘হিরো আলম’কে দেখতে প্রতিদিনই ভীড় করছেন দূরদূরান্তের মানুষ

গরু ‘হিরো আলম’কে দেখতে প্রতিদিনই ভীড় করছেন দূরদূরান্তের মানুষ

গরু ‘হিরো আলম’কে গরু বলে ডাকলে মালিক জিয়াম মনে কষ্ট পান। তিনি বলেন, আপনি গরু বলে ডাকবেন কেন? তার একটা নাম আছে। তার (গরু) নাম ‘হিরো আলম’। এই গরুটিকে নাম করণের পিছনে আছে জটিল সমীকরণও।

জিয়াম জানান, তিনি ষাড়টিকে বাড়ি থেকেই বিক্রি করতে চান। যে কারণে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছবি ও ষাড়টির বিবরণ দিয়ে বিক্রি করতে চাচ্ছেন। তিনি ষাড়টির দাম চেয়েছেন ৮ লাখ টাকা। তিনি ধারণা করছেন ৭ লাখ টাকার ওপরে তিনি একে বিক্রি করতে পারবেন। এখন পর্যন্ত সাড়ে ৫ লাখ দাম উঠেছে বলে দাবি করেন তিনি। গরু ‘হিরো আলম’কে দেখতে প্রতিদিনই ভীড় করছেন দূরদূরান্তের মানুষ।

৯ শ’ কেজি ওজনের হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান জাতের ষাড়টির নাম ‘হিরো আলম’ দিয়েছেন মো. জিয়াম নামে হিরো আলমেরই এক ভক্ত। ৮ ফুট লম্বা ও সাড়ে ৫ ফুট উচ্চতার সাদা-কালো রংয়ের এই ষাড়টি এবার কোরবানি উপলক্ষে বিক্রি করা হবে। বিশালদেহী এই ষাড়টির দাম ৮ লাখ টাকা হেঁকেছেন খামারি মো. জিয়াম।

হামদর্দ ইউনানী মেডিক্যাল কলেজ পড়াশোনা করছেন মো. জিয়াম। পাশাপাশি বাবা’র ব্যবসায় সহযোগিতা এবং গরু পালন করছেন তিনি। বগুড়া সদর উপজেলার ফুলবাড়ী মধ্যপাড়ার এই যুবক জানান, তার বাপ-দাদা’রা পূর্ব থেকেই বাড়িতে গরু পালন করতেন। ‘হিরো আলম’ তাদের বাড়িতেই জন্মগ্রহণ করেছে। বয়স প্রায় ৪ বছর। তবে তাদের বাড়িতে গরু পালন করলেও কখনও এত বড় হয়নি। অল্প সময়ের মধ্যেই গরু বিক্রি করা হতো।

আর এই কারণে গরুটির জন্মের কয়েক মাস পরই জিয়াম তার বাবাকে বলেন, তিনি একে পালন করতে চান। তার বাবা রাজি হয়ে গেলে শখ থেকেই গরুটিকে লালন-পালন শুরু করেন। জিয়াম জানান, ষাড়টির পরিচর্যায় তিনি কোনো ধরনের ক্ষতিকর ট্যাবলেট ও ইনজেকশন ব্যবহার করেননি। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে খড়, তাজা ঘাস, খৈল, ভুষি, চালের কুড়া, ভুট্টা, ভাতসহ পুষ্টিকর খাবারের মাধ্যমে লালন পালন করা হচ্ছে। পাশাপাশি নিয়মিত দুই বার করে গোসল করানো, পরিষ্কার ঘরে রাখা ও রুটিন অনুযায়ী ভ্যাকসিন দেওয়াসহ প্রতিনিয়ত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া হয়।

তিনি বলেন, ষাড়টির যে ওজন এত বেশি হবে বুঝতে পারিনি। হঠাৎ করেই ষাড়টি এতটা স্বাস্থ্যবান হয়েছে। ষাড়টি পালন করতে করতে তার ওপর অনেক মায়া জন্মে গেছে। আর এ কারণে ভালোবেসে ষাড়টি’র নাম দিয়েছি ‘হিরো আলম’।

ষাড়টির নাম হিরো আলম দেয়া প্রসঙ্গে জিয়াম বলেন, দেখুন হিরো আলমকে তো আর আমি খাটো করিনি। তাছাড়া আমি তার একজন ভক্ত। আমি তাকে পছন্দ করি বলেই ভালোবেসে আমার শখের গরুটির নাম হিরো আলম দিয়েছি। আসল হিরো আলমকে নিয়ে তিনি বলেন, হিরো আলম যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, সেটা অনুপ্রেরণার। অবশ্যই সবাই তাকে সেভাবে গ্রহণ করেননি হয়তো। তবে আমি তাকে দেখেছি, তার অবস্থান থেকে করোনা’র সময় সে মানুষকে সহযোগিতা করেছে, এবার বন্যায়ও করলো। সবচেয়ে বড় কথা, তার বিরুদ্ধে যেই যতো কথা বলুক, তিনি সেটা কানে নেন না।

Advertisement