Homeসব খবরজাতীয়বিদ্যুতে আবারও ভোগান্তির শঙ্কা

বিদ্যুতে আবারও ভোগান্তির শঙ্কা

চাহিদা কম থাকায় এবং গ্যাসের জোগান পর্যাপ্ত হওয়ায় ঈদের ছুটিতে বিদ্যুৎ খুব একটা ভোগায়নি দেশবাসীকে। শনিবার থেকে শিল্পকারখানা আবার খুলবে। অফিস-আদালত গত মঙ্গলবার থেকে খুললেও এখনও স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়নি। রোববার থেকে পুরোদমে অফিস-আদালতের কার্যক্রম শুরু হবে। এতে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়বে। ফলে গ্যাসের ব্যবহারও বাড়বে। এতে বিদ্যুতে গ্যাসের সরবরাহ কমে যাবে। ফলে চলতি সপ্তাহ থেকে আবার বিদ্যুতের ভোগান্তি শুরু হতে পারে বলে সংশ্নিষ্টরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

দাম বাড়ায় চলতি মাসে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি করেনি পেট্রোলবাংলা। ফলে দৈনিক গ্যাসের সরবরাহ কমে আসে ৩০-৩৫ কোটি ঘনফুটে। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ সব খাতেই গ্যাসের সরবরাহ কমে যায়। বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১৩০ কোটি ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে দৈনিক সরবরাহ এক পর্যায়ে ৮০ কোটি ঘনফুটে নেমে আসে। ফলে এক দশকের মধ্যে ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে দেশ। রাজধানীতেই দিনে ৩-৪ ঘণ্টা লোডশেডিং শুরু হয়। ঢাকার বাইরে কোথাও কোথাও দিনে ১২ ঘণ্টাও বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দেয়। তবে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার পর পরিস্থিতির একটু উন্নতি হয়।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) তথ্য মতে, গত মঙ্গলবার দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১২ হাজার ১৮১ মেগাওয়াট। চাহিদার পুরোটাই সরবরাহ করতে পেরেছে পিডিবি। সংস্থাটির মতে, কোথাও লোডশেডিং হয়নি। যদিও দেশের অনেক জায়গায় অল্প হলেও বিদ্যুতের যাওয়া-আসার সংবাদ মিলেছে।

শিল্পকারখানা বন্ধ থাকায় মঙ্গলবার বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১২৩ কোটি ঘনফুট গ্যাস দিয়েছিল পেট্রোবাংলা। তারপরও এক হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট ক্ষমতার গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ ছিল। ঈদের ছুটির আগে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার মেগাওয়াট। সরবরাহ ছিল ১১-১২ হাজার মেগাওয়াট। এ সময় বিদ্যুৎ উৎপাদনে পেট্রোবাংলা দৈনিক ৮০-৯০ কোটি ঘনফুট গ্যাস দিয়েছে।

চলতি সপ্তাহে বিদ্যুতের পরিস্থিতি আবার আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলো। বর্তমানে দেশব্যাপী চলছে প্রচণ্ড তাপদাহ। ফলে বিদ্যুতের চাহিদা আরও বেড়ে যাবে। বিপরীতে বিদ্যুতে গ্যাসের সরবরাহ কমে যেতে পারে কলকারখানা চালুর কারণে। ফলে চলতি সপ্তাহ থেকে আবার লোডশেডিং শুরু হতে পারে।

সূত্র: সমকাল।

Advertisement