টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে এক মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে। বর্তমানে ছাত্রীটি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে দাবি স্বজনদের। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দিগড় ইউনিয়নে। এ ঘটনায় ঘাটাইল থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা। এরপর অভিযুক্ত ইমামকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গ্রেফতার কেরামত আলী ঘাটাইলের দিগড় ইউনিয়নের গারট্ট উত্তরপাড়া গ্রামের মসজিদে ইমামতি করতেন। তার গ্রামের বাড়ি পার্শ্ববর্তী মধুপুর উপজেলার আইনাতকারী গ্রামে। ইমামতির পাশাপাশি মসজিদে সকালে গ্রামের ছেলে-মেয়েদের কোরআন শিক্ষা দিতেন কেরামত।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মসজিদে কোরআন শিক্ষার জন্য যেত সপ্তম শ্রেণির ওই মাদরাসাছাত্রী। ১৫ দিন আগে হঠাৎ ইমামতি ছেড়ে দিয়ে সবার কাছে বিদায় নিয়ে বাড়ি চলে যান কেরামত আলী। সম্প্রতি মেয়ের শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন লক্ষ্য করেন ছাত্রীটির বাবা-মাসহ বাড়ির লোকজন। পরে জিজ্ঞাসাবাদে সব ঘটনা বাবা-মাকে খুলে বলে মেয়েটি।
ভুক্তভোগী কিশোরী ও তার অভিভাবকরা জানান, ভয়ভীত দেখিয়ে মেয়েটির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন ইমাম কেরামত আলী। পাঁচ মাস আগে ঘটনার দিন বাড়ির সামনের মাঠ থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে ডেকে মসজিদের বারান্দায় নিজ কক্ষে নিয়ে যান তিনি। পরে সেখানেই তাকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য অনুরোধও করেন। পরে নানা লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করেন কেরামত। এতে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ছাত্রীটি।
বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর ৪ জুন ইমাম কেরামত আলীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা। পরে ওইদিন রাতেই কেরামতকে শ্বশুরবাড়ি ভূঞাপুর উপজেলার গোবিনদাসী গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মসজিদ কমিটির সভাপতি ওয়াহেদ আলী বলেন, কেরামত যে কাজ করেছেন তা ক্ষমার যোগ্য নয়। আমরা তার উপযুক্ত বিচার ও শাস্তি দাবি জানাই।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঘাটাইল থানার এসআই মেরাজুল ইসলাম রুবেল জানান, অভিযুক্ত ইমাম কেরামতকে ৫ জুন আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি ১৬৪ ধারায় আদালদের কাছে দায় স্বীকার করেছেন। টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভুক্তভোগী ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।
সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ।