Homeসব খবরজেলার খবররাজবাড়ীতে বাড়ছে ড্রাগন চাষ, অর্থিকভাবে লাভবান চাষিরা!

রাজবাড়ীতে বাড়ছে ড্রাগন চাষ, অর্থিকভাবে লাভবান চাষিরা!

অল্প পুঁজিতে অধিক লাভ হওয়ায় চাষিরা ঝুঁকছেন ড্রাগন চাষে। তাছাড়া বাজারে জোগানের সাথে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে চাষিরা। রাজবাড়িতে দিন দিন বাড়ছে ড্রাগন ফলের চাষ। জানা যায়, রাজবাড়ীর ৫টি উপজেলায় বর্তমানে প্রায় ৫০ জন চাষী ৩ হেক্টর জমিতে করছেন ড্রাগন ফলের চাষ। চলতি মৌসুমে উৎপাদন হবে প্রায় ১০ টন ড্রাগন ফল, যা প্রায় ৩০ লাখ টাকায় বিক্রি হবে।

গ্রামের চাষি গফুর কাজী বলেন, ২০১৫ সালে কৃষি বিভাগে একটি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ড্রাগন ফল সম্পর্কে জানতে পারে ১০ শতাংশ জমিতে প্রদর্শনী বাগান করে শুরু করি ড্রাগন চাষ। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রথম বছরেই ৪০টি গাছে ফল আসে। পরের বছর দেড় লাখ টাকার ড্রাগন ফল বিক্রি করি। এখন প্রতি বছর প্রায় দেড় থেকে ২ লাখ টাকার ড্রাগন ফল বিক্রি করতে পারি।

তিনি আরও বলেন, আমরা স্বামী স্ত্রী দুইজনে মিলে এখন ড্রাগন বাগানে কাজ করি। বাজারের ফল ব্যবসায়ীরা বাড়ি এসে ড্রাগন কিনে নিয়ে যায়। প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা দরে দাম দেয়। বেড়াডাঙ্গা সড়কের বাসিন্দা মো. আল আমিন বলেন, চাকুরির পাশাপাশি শখের বসে বাড়ির ছাদে ড্রামে ড্রাগন ফলের চারা রোপণ করেছি। ফলটি খেতে অনেক সুস্বাদু ও মজাদার। ইন্টারনেটে দেখেছি এর নানাবিধ পুষ্টিগুন রয়েছে।

রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. বাহাউদ্দিস শেখ বলেন, ২০১১ সালে রাজবাড়ী হর্টিকালচার সেন্টারে পরীক্ষামূলকভাবে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু হয়। প্রতি হেক্টর জমিতে ড্রাগন চাষের জন্য প্রয়োজন দেড় থেকে ২ লাখ টাকা। বছরে একটি ড্রাগন গাছ থেকে প্রায় ১৪০টি ফল পাওয়া যায়। এসব ফল স্থানীয় বাজারে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়ে থাকে।

Advertisement