Homeসব খবরজেলার খবরমিষ্টি কুমড়া চাষে কৃষকের মুখে হাসি

মিষ্টি কুমড়া চাষে কৃষকের মুখে হাসি

চাষিরা অল্প খরচেই বেশি ফলন পেয়ে থাকেন। এবছর কৃষকরা বাম্পার ফলনের পাশাপাশি ভালো দামে বিক্রি করতে পেরে লাভবান হচ্ছেন। এতে স্থানীয় পর্যায়ে মিষ্টি কুমড়া চাষির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। চলতি বছর জয়পুরহাটে মিষ্টি কুমড়া চাষে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। এই জেলার মাটি ও আবহাওয়া মিষ্টি কুমড়া চাষের খুব উপযোগী।

জয়পুরহাট জেলা ধান ও আলুর জন্য বিখ্যাত হলেও বর্তমানে কৃষকরা মিষ্টি কুমড়া চাষির প্রতি ঝুঁকছেন। এই জেলার প্রায় সবগুলো উপজেলায় চাষ হলেও আক্কেলপুর উপজেলার জামালগঞ্জ এলাকায় এর সবচেয়ে বেশি চাষ হয়। এখানকার কৃষকরা জমি থেকে আলু তোলার পরপরই একই জমিতে মিষ্টি কুমড়ার বীজ বপন করেন। সেচ ও সার দিয়ে ফলন শুরু করে পরবর্তী দুইমাস পর্যন্ত মিষ্টি কুমড়ার ফলন পাওয়া যায়।

এতে কৃষকরা বাম্পার ফলনের পাশাপাশি ভালো বাজারদরও পেয়ে থাকেন। আর এর চাষে লাভবান হতে পারা যায় বলে দিন দিন এই সবজি চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। এখানকার উৎপাদিত কুমড়া রাজধানী, ঢাকা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, খুলনা, নড়াইলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হচ্ছে।

আক্কেলপুর উপজেলার পূর্ব মাতাপুর গ্রামের কৃষক আফজাল বলেন, আমি আমার ১ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছিলাম। এর চাষে আমার ২-৩ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আর জমির মিষ্টি কুমড়া ২৮ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। আলু তোলার পর সেই জমিতেই মিষ্টি কুমড়ার বীজ বপন করি।

পাঁচবিবি উপজেলার কদুবাড়ী গ্রামের কৃষক আব্দুল মান্নান বলেন, অন্যান্য ফসলের সাথেও মিষ্টি কুমড়ার চাষ করা যায়। এতে শ্রমিক, সেচ, সার সহ ৩ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। গত কয়েকদিন আগে প্রতি কেজি ৮ টাকা দরে বিক্রি করেছি। এখন ১০ টাকা দরে বিক্রি করতে পারছি।

স্থানীয় বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বিক্রেতারা প্রতি কেজি মিস্টি কুমড়া ২০-৩০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। তবে কৃষকদের মতে, পাইকাররা তাদের কাছ থেকে ৮-১০ টাকা কেজি দরে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রাহেলা পারভীন বলেন, চলতি বছর জয়পুরহাট জেলায় প্রায় ২০০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়েছে। আমরা কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করছি। কৃষকরা সারাবছরই এর চাষ করে থাকেন।

Advertisement