গতকাল বুধবার (২২ জুন) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে আফগানিস্তানের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজ জানিয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভয়াবহ অবস্থা আফগানিস্তানের। বুধবার দেশটির পূর্বাঞ্চলে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্পে ইতোমধ্যে নিহতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। এবার দেশটিতে বন্যায় অন্তত ৪০০ জন নিহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার আফগানিস্তানের ১৮টি প্রদেশে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যায় সারাদেশে এখন পর্যন্ত ৪০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। বন্যায় নাগরিকদের ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। আফগানিস্তানের কুনার, নানগারহার, নুরিস্তান, লাঘমান, পানশির, পারওয়ান, কাবুল, কাপিসা, ময়দান ওয়ার্দাক, বামিয়ান, গজনি, লোগার, সামানগান, সার-ই-পুল, তাখার, পাকতিয়া ও দাইকুন্দি প্রদেশে আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মৌলভী শরাফুদ্দিন মুসলিম বলেন, অতি বর্ষণ ও আকস্মিক বন্যায় আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বন্যায় যাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে তাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং তাদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তাঁবুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। কুন্দুজ প্রদেশের বাসিন্দা আহমাদুল্লাহ বলেন, কুন্দুজের শত শত একর জমি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এখনও কিছু জমি বন্যার পানিতে নিমজ্জিত। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।
নানগারহার প্রদেশের আর্চিন জেলার বাসিন্দা হামিদুল্লাহ সিনওয়ারি বলেন, মঙ্গলবার রাত থেকে ভারী বর্ষণ হচ্ছে। অতি বর্ষণের ফলে একটি বাড়ির ছাদ ধসে একজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ৫ জন।ভয়াবহ ভূমিকম্পে দেশটিতে এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হওয়ার পর বন্যা পরিস্থিতিতে দিশেহারা দেশটির ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার। এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন তারা।