Homeসব খবরজেলার খবর‘বাঁশ’ দেশে এটি খুবই কাজে লাগে; ‘কঞ্চি কলম’ পদ্ধতিতে...

‘বাঁশ’ দেশে এটি খুবই কাজে লাগে; ‘কঞ্চি কলম’ পদ্ধতিতে বাঁশ চাষে যেভাবে বাড়বে উৎপাদন

আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে বাঁশ খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এটির গুরুত্ব অপরিসীম। নীলফামারীতে নতুন প্রযুক্তি ‘কঞ্চি কলম’ পদ্ধতিতে বাঁশ চাষকে সর্বত্র বিস্তার করতে আঞ্চলিক বাঁশ গবেষণা কেন্দ্র কাজ করছে। ২০২০ সালে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রায় ১৭ কোটি ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে ডোমারে এ গবেষণা কেন্দ্র চালু করেন।

জানা যায়, আঞ্চলিক বাঁশ গবেষণা কেন্দ্রে দুইটি ল্যাবরেটরি, একটি ওয়ার্কশপ, একটি ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ও নার্সারি সেড এবং বেড রয়েছে। এ কেন্দ্রে বুদুম, বরাক, মাকলা, বাইদ্দা ও বান্দিসিসহ ২০টিরও অধিক প্রজাতির বাঁশ রয়েছে। নতুন প্রযুক্তির এ পদ্ধতির প্রচলন বাড়াতে প্রায় ১৫শত জন সুবিধাভোগীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

বাঁশের তৈরী নানা পণ্য বিক্রি করে কয়েক হাজার পরিবার জীবন নির্বাহ করেন। নতুন উদ্ভাবিত ‘কঞ্চি কলম’ পদ্ধতিতে কম সময়ে, স্বল্প খরচে বাঁশ উৎপাদন করা যায়। এজেলার মাটি ও আবহাওয়া বাঁশ চাষের উপযোগী হওয়ায় নীলফামারীর ডোমারে বাণিজ্যিকভাবে বাঁশ চাষ শুরু করেন স্থানীয়রা। ইতোমধ্যে রংপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে ৬ টি গবেষণা কেন্দ্রিক প্রদর্শনী প্লট স্থাপন করা হয়েছে।

নীলফামারী ডোমার আঞ্চলিক বাঁশ গবেষণা কেন্দ্রের গবেষণা কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান সরকার বলেন, নতুন প্রযুক্তি ‘কঞ্চি কলম’ পদ্ধতি বাঁশ চাষে নতুন মাত্রা যোগ করবে। এ পদ্ধতিতে চাষ হলে বাঁশের উৎপাদন ও বাঁশের বহুমাত্রিক ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে। এ অঞ্চলের মানুষ আর্থিকভাবে লাভবান হবেন।

Advertisement