Homeসব খবরবিনোদননিশো ভক্তের কাণ্ড!

নিশো ভক্তের কাণ্ড!

জাকির হোসেন জয় নামের এই ভক্তের বাড়ি নেত্রোকোনার বারহাট্টা উপজেলায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার্থী। গত বছর নিশোর সঙ্গে দেখা করতে প্রথম ঢাকায় এসেছিলেন। নিশোকে নিয়ে তার পাগলামিটা প্রায় একদশক ধরে! সারাদেশে ছড়িয়ে আছে অভিনেতা আফরান নিশো লাখ লাখ ভক্ত। তাদের মধ্যে থেকে খোঁজ মিলল এই অভিনেতার এক পাগল ভক্তের।

সবগুলো নাটক তো দেখেছেনই, এমনকি নিশোর তিনটি চরিত্রের মতো করে নিজে সেজেছিলেনও। নিশোর কাছে তার ১০১ নাটকের নাম উল্লেখ করে লিখেছেন চিঠি। অভিনেতাকে উদ্দেশ করে লেখা সেই চিঠি এসেছে।

‘মাই ডিয়ার দাদাভাই’ আফরান নিশো,
‘আমার লিখা তোমার কাছে প্রথম চিঠি’তে ‘সাদা কাগজে সাজানো অনুভূতি’ গুলো ‘দ্য প্রেস’-এ ছাপিয়ে ‘নীল চিরকুট’-এ বাঁধিয়ে ‘সিদ্ধান্ত’ নিলাম ‘উপহার’ হিসেবে ‘পতঙ্গ’র মাধ্যমে পাঠিয়ে দেব। ‘ডিয়ার বাংলাদেশ’র ‘এই শহর’-এ আমার মতো ‘মধ্যবিত্ত’ পরিবারের ‘সহজ সরল ছেলেটা’র ‘আপন’ কোনো ভাই নেই তাই তোমাকে ‘ভাইয়া’ বলে ডেকে ‘বুকের বাঁ পাশে’ “হান্ড্রেড আউট অব হান্ড্রেড’ বসিয়েছি তোমার ‘মহব্বত’র ‘ট্রাম্প কার্ড’ আর হয়েছি ‘মাজনু’ যা ‘যোগ বিয়োগ’ করে ‘তৃতীয়জন’কে বোঝানো যাবে না এই ‘মায়ার বাঁধন’ কেমন টানছে আমায়। ‘মিস শিউলি’র কাছে তোমার ‘একটি অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সফর’ নাটকের প্রশংসা শুনে দেখতে বসে যাই সুন্দরী ‘গজদন্তিনী’ ‘আঙ্গুরবালা’দেরকে সাথে নিয়ে। তবে এটাই ‘শেষ দেখা’ নয়। তারপর আবার তোমার ‘গুলবাহার’, ‘ফুলমতি’ দেখে আমি ‘প্রশংসায় পঞ্চমুখ’ আর হয়ে যাই নাটকের ‘শহরে নতুন প্রেমিক’ তখন থেকেই তুমি হলে ‘প্রিয় মানুষ’। তুমি যখন ‘দ্বিতীয় কৈশোর’ এ তখন তোমার ‘জীবন এখানে এমন’ ‘যে তুমি হরন করো’ ‘প্রতিদিন’ মানুষের মুখে ‘মেরুণ’ রঙের ‘নীল রোদ্রের ঘ্রান’ র মতো রটে তোমার প্রশংসা। যদিও তুমি অভিনেতা হতে চাওনি। হয়েছে ‘ছন্দপতন’, তোমার ‘মন বদল’ হলো জেদের বশে তখন ‘ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প’ ‘অপেক্ষার গল্প’র পর আজ তুমি কোটি মানুষের ‘মনের সিগন্যাল’র ‘আর্টিস্ট মজনু খাঁ’। ‘লেটস্ ফ্লাই’ বলে অনেক ‘বাঁক’ পেরিয়ে ‘দৃষ্টি’ বহুদূর রেখে নিজেকে ‘লাফ’ দিয়ে নিচ্ছো অনেক উঁচুতে এখন ‘বুঝতে হবে’ পিছু ‘ফেরার পথ নেই’ তোমার যেতে হবে এগিয়ে।

‘কমলা সুন্দরী’ ‘ওয়াদা’ করেছিল সে তোমার ‘জীবনসঙ্গী’ হবে কিন্তু হয়নি তোমার “লাইফ মেট’ হয়েছে ‘আঙ্গুরবালা’ আর লায়লার সাথে ‘মেট্রোপলিটন প্রেম’র ‘পুরনো প্রেমের গল্প’র ‘মেমোরিস’ গুলো আর ‘শেষ চিরকুট’র লেখাগুলো দেখলে যদিও তাকে ‘কখনো না কখনো’ বলতে ইচ্ছে করে ‘লায়লা, তুমি কি আমাকে মিস কর? তবে ‘গল্পের শেষে’ ‘শোক হোক শক্তি’ এটা মেনে নিয়ে তুমি বরাবরই নতুন চরিত্রের জন্ম দাও আবার ‘পুনর্জন্ম’ দাও আর সেখানে ‘জন্মদাগ’ রেখে দিচ্ছো একেকটা চরিত্রে যা দেখে ‘আবার ভালবাসার সাধ জাগে’ মনে। ‘উচ্চতর হিসাব বিজ্ঞান’ করে দেখলাম তুমি ‘ভিক্টিম’ নও তুমি ‘কায়াকর’, ‘কায়কোবাদ’। তোমার গল্পটা ‘আয়না রহস্য’ নয়, ‘রেডরাম’ কিংবা ‘সিন্ডিকেট’-এ ডুবে থাকা নয় গল্পটা ‘আলোফুল ও ভালবাসার গল্প’ তুমি ‘ভিনদেশী তারা’ নও ‘তুমি আমারই’ এবং ‘তুমি আমাদের বকর ভাই’।

‘হ্যালো শুনছেন’ ‘চিরকাল আজ’ গুরু ভক্তের মাঝে ‘তোমার আমার প্রেম’ ‘নামকরণ’ হোক। অভিনয় আর এই ‘শিল্পী’ ‘পরিপূরক’ যেটা তোমাতে দেখে জার্মানি ভাষায় ‘কায়জার’ ইংরেজিতে বস্ আর বাংলায় ‘রাজা’ কিংবা গুরু বলতেই হয় কারণ তুমি ‘অভিনয়’ জগতের ‘সবুজ নক্ষত্র’। যিনি ‘একাই একশো’ প্রতিটি চরিত্রে ‘সিগনেচার’ রেখে যাচ্ছো যেন ‘ধুমকেতু’ তাই ‘কালারফুল’ তোমাকে সবসময় বলতে চাই ‘স্যার, আই লাভ ইউ’ এবং বুঝিয়ে দিব ‘তাকে ভালবাসা বলে’। আমার শখ তোমার সাথে একটা ‘অপেক্ষার ফটোগ্রাফি’ যা ‘ফটোফ্রেম’ এ বাঁধিয়ে রাখবো আমি এবং ‘শেষটা সুন্দর’ হবে।

দোয়া করি ‘সুখপাখি’ যেন সবসময় তোমার সাথে থাকে আর ‘লাভলী ওয়াইফ’ ভাবির ‘সোলমেট’ হয়ে থেকো সবসময় কখনো ‘এক বৈশাখে’ ভাবিকে একটি রঙিন ‘শাড়ী’ গিফট কইরো। কোটি ভক্তের সাথে সুরমিলিয়ে বলতে চাই ‘ভালো থাকুক ভালবাসা’ আমাদের কলিজার আফরান নিশো ভাই।

জাকির হোসেন জয় জানান, দুবার তিনি নিশোর সঙ্গে সামনাসামনি দেখা করেছেন। কিন্তু তাকে কতটা ভালোবাসেন তা বোঝাতে পারেননি।

জয় বলেন, আমি আমার কাজ দিয়ে প্রমাণ করি নিশো ভাইকে কতটা ভালোবাসি। প্রথম দেখায় উনি আমায় জড়িয়ে ধরেছিলেন। আমার কসপ্লেগুলো, চিঠিটা দেখে খুশি হয়েছিলেন, প্রশংসাও করেছিলেন। আমি তখন ঘোরে হারিয়ে গিয়েছিলাম। বাংলা নাটককে উনি অনেক সমৃদ্ধ করেছেন।

তার ভাষ্য, ‘ইতোমধ্যে ওটিটিতে ছক্কা হাঁকিয়েছেন। সুড়ঙ্গ-এর মাধ্যমে সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন। আমাদের সবার বিশ্বাস তিনি সফল হবে।’

Advertisement