Homeসব খবরক্রিকেটটাইগারদের ১৭৯ রানের লক্ষ্য দিল উইন্ডিজ

টাইগারদের ১৭৯ রানের লক্ষ্য দিল উইন্ডিজ

বাংলাদেশের বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে অবশেষে ৪৮ ওভার ৪ বলে ১৭৮ রানে আটকে গেল উইন্ডিজ ব্যাটাররা। টাইগারদের সামনে টার্গেট ১৭৯ রানের। স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ নিশ্চিত হয়েছে আগেই। হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্য নিয়ে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে একটি পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামে টাইগার বাহিনী।

গায়ানার প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে ম্যাচটি শুরু হয়। টস জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম উইন্ডিজকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান। শুরুতে ব্যাট করে উইন্ডিজ নির্ধারিত ৪৮.৪ ওভারে ১৭৮ রান করতে সমর্থ হয়। এর আগে শুরুতেই ক্যারিবীয় ব্যাটারদের চেপে ধরেছিলেন তাইজুল-মোস্তাফিজরা। টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল তার প্রমান করেন বাংলাদেশের বোলাররা। তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং এ উইন্ডিজ বেশিদুর যেতে পারে নি।

শুরুটা করেন তাইজুল, তিনি আঘাত হানেন উইন্ডিজ শিবিরে। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের ১ম বলেই ৯ বলে ৮ রান করা ব্রান্ডন কিং কে সরাসরি বোল্ড করে সাজঘরে ফেরত পাঠান তিনি। এর পরেই ১৫ বলে ২ রান করা শাই হোপকে নুরুল হাসান সোহানের হাতে স্ট্যাম্পড আউট করেন তাইজুল।

আগের একাদশ থেকে এই ম্যাচে বাদ পড়েছেন শরিফুল ইসলাম। তার জায়গায় দীর্ঘদিন পর দলে সুযোগ পান স্পিনার তাইজুল ইসলাম। অর্থাৎ এ ম্যাচে মাত্র একজন পেসার নিয়ে খেলবে বাংলাদেশ। দলে সুযোগ পেয়েই শুরুতে ২ উইকেট নিয়ে তার যথার্থতা প্রমান দিলেন তাইজুল।

তারপরের আঘাত মুস্তাফিজের, তার তৃতীয় ওভারে বাতাসে ভেসে আসা সাদা বলের লাইনই বুঝতে পারেন নি ব্রোকস্। ফলাফল ফিজের বলে এলবি ডব্লিউ এর ফাঁদে পড়েন তিনি। আউট হবার আগে তার হিসেবের খাতায় যোগ করতে পারেন মাত্র ৪ রান।

তবে শুরুর সেই চাপ দারুণভাবে কাটিয়েছেন নিকোলাস পুরান আর কাইল মায়ার্সের ইনজুরিতে একাদশে জায়গা পাওয়া ক্যাসে কার্টি। চতুর্থ উইকেটে দেখেশুনে ১২৮ বল খেলে যোগ করেন ৬৭ রান। থিতু হয়ে যাওয়া এই জুটিটি অবশেষে ভেঙেছেন নাসুম আহমেদ। অবশেষে ইনিংসের ২৭তম ওভারে ফের নাসুমকে বোলিংয়ে আনেন তামিম।

অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিতে দেরি করেননি পুরো সিরিজেই দুর্দান্ত বোলিং করা নাসুম। বাঁহাতি এই স্পিনারকে তুলে মারতে গিয়ে মিডঅনে তামিমের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন ৬৬ বলে ৩৩ রান করা কার্টি ।এরপর রানের গতি আরও কমে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ৩৪ ওভারে ১০০ ছোঁয় ক্যারিবীয়রা। ওই সময় ৪৩ বলে মাত্র ১৬ রান তুলেছিলেন পুরান-রভম্যান পাওয়েল। পানি পানের বিরতির পর রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করে ক্যারিবীয়রা।

৩৫তম ওভারে তাইজুলকে পুরানের এক বাউন্ডারিসহ ৮, পরের ওভারে মিরাজকে পাওয়েলের একটি ছক্কাসহ ৯ রান আসে। তবে তার ঠিক পরের ওভারেই দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে পাওয়েলকে ২৯ বলে ১৮ রানে বোল্ড করেন তাইজুল।

এদিকে মুস্তাফিজের আউটসাইড অফের বল সজোরে হাঁকিয়েছিলেন শেইফার্ড। বল উঠে যায় আকাশে। কাভার অঞ্চলে থাকা তামিম তালুবন্দি করতে পারেননি। ১২ রানে জীবন পান শেইফার্ড। উইন্ডিজের অলআউটেও আরও বিলম্ব হচ্ছে। লেজের এই দুই ব্যাটসম্যান ইতিমধ্যে ২৭ বলে ১৯ রান যোগ করেন। পরে মোস্তাফিজের স্লোয়ার অফ সাইডে খেলতে গিয়ে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হন গুদাকেশ মোতি। ৬ বলে ২ রান করেন মোতি। এটি উইন্ডিজের নবম উইকেট। ক্রিজে আছেন আলঝারি জোসেফ ও রোমারিও শেইফার্ড।

৯৩ বলে ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি করেছিলেন নিকোলাস পুরান। এরপরই যেন খোলস ছেড়ে বের হন। দুই ছক্কায় ফিফটির পর ১৩ বলে যোগ করেন ২১ রান। পুরান ঝড়ের মাঝেই প্রথম উইকেটের দেখা পেলেন মোসাদ্দেক। বলের লাইন মিস করে খেলতে গিয়ে আকিল ১ রানে বোল্ড হয়ে ফেরেন সাজঘরে।

এখন পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সব মিলিয়ে ৪৩টি ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ। এর মাঝে জিতেছে ২০টিতে, হেরেছে ২১টিতে। ২টি পরিত্যক্ত হয়। যদি সিরিজের শেষ ওয়ানডে জিততে পারে বাংলাদেশ, তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয়-হারের ব্যবধান সমান হয়ে যাবে টাইগারদের।

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন শান্ত, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), নুরুল হাসান সোহান, মুস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহমেদ ও তাইজুল ইসলাম।

Advertisement