Homeসব খবরজেলার খবরঝিঙ্গা চাষে লাভবান চরাঞ্চলের কৃষকরা

ঝিঙ্গা চাষে লাভবান চরাঞ্চলের কৃষকরা

ঝিঙ্গা একটি সুস্বাধু সবজি। বাজারে এর বেশ চাহিদা রয়েছে। এর চাষে খরচ অল্প ও বেশি লাভজনক হওয়ায় চরের চাষিরা বেশি বেশি ঝিঙ্গা চাষ করছেন। এতে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবানের পাশাপাশি স্বাবলম্বী হতে পারছেন। ভোলার চরাঞ্চলের কৃষকরা ঝিঙ্গা চাষে ব্যাপক ফলন পেয়েছেন।

ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের চর চটকি মারার গাগুরিয়া চরে ঝিঙ্গার ব্যাপক চাষ হয়েছে। এখানকার কৃষকরা হাইব্রিড জাতের ঝিঙ্গা চাষ করছেন। চরের মাটি ও আবহাওয়া ভালো থাকায় ঝিঙ্গা সহ সব ধরনের সবজির বাম্পার ফলন হয়। আর বাজারে ঝিঙ্গা ভালো দামে বিক্রি করে কৃষকরা লাভবান হতে পারেন। অল্প খরচে ও সময়ে বেশি লাভবান হওয়া যায় বলে দিন দিন এর চাষ বাড়ছে। এখানকার উৎপাদিত ফসল স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যায়।

কৃষক হাফিজ চৌকিদার বলেন, আমি অন্যের জমি লিজ নিয়ে কৃষি কাজ করি। গত ২ বছর ধরে প্রথমে ৫ শতক তারপর ১০ ও এখন ২০ শতক জমিতে ঝিঙ্গা করছি। ২০ শতক জমিতে ৬০০টি ঝাড় তৈরী করেছি। প্রতিটি ঝাড়ে তিনটি করে হাইব্রিট মেটাল সিটের ইউরেকা জতের বীজ বপন করেন। মাত্র দেড় মাসের মাথায় ফল ধরতে শুরু করে। প্রতি কেজি ৩৫-৪০ টাকা দরে ইতোমধ্যে ৫০ হাজার টাকার বিক্রি করেছি। আশা করছি লক্ষাধিক টাকার বিক্রি করতে পারবো। এই সবজি চাষে মোট ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

এখানকার উৎপাদিত ঝিঙ্গা ভোলার বাজারে আর বাকিগুলো চলে যায় খুলনা, ঢাকা ও যশোরে। ঝিঙ্গে চাষে পরিশ্রম একটু বেশি হলেও ভালো ফলন, চাহিদা বেশি ও লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকরা খুশি। চর থেকে নদী পথে এবং পরে বাসে করে নিয়ে যাওয়া হয় এই সবজি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসান ওয়ারেসুল কবির বলেন, চলতি বছর ভোলায় ৩২৫ হেক্টর জমিতে জিঙ্গা আবাদ করা হয়েছে। আশা করছি কৃষকরা ঝিঙ্গার ভালো ফলনের পাশপাশি বেশি দরে বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন। এতে প্রতি হেক্টরে প্রায় ১৮ মণ করে ফলন এসেছে। আমরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগিতা করে আসছি।

Advertisement