Homeসব খবরজেলার খবরগমের ব্যাপক ফলনে খুশি পঞ্চগড়ের চাষিরা

গমের ব্যাপক ফলনে খুশি পঞ্চগড়ের চাষিরা

এবছরও চাষিরা গমের চাষ করেছেন। ভালো ফলনও পেয়েছেন। চাষিদের অধিক গমের চাষ ও ভালো ফলনে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারনা করছে কৃষি বিভাগ। পঞ্চগড়ে গমের ব্যাপক ফলন হয়েছে। গত বছর ভালো ফলন পাওয়ায় কৃষকরা লাভবান হতে পেরেছিলেন।

বৈশ্যিক মহামারির পর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে দেশে সব ধরনের পণ্যের ঘাটতি ও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই দেশের চাহিদা কথা মাথায় রেখে কৃষকরা গম চাষে ঝুঁকেছেন। এছাড়াও গম চাষে সেচ, সার, কীটনাশক ও বালাইণাশকে তেমন বেশি খরচ হয় না। আর উৎপাদিত ফসল বেশি দামে বিক্রি করে লাভবান হওয়া যায় গম চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। আর এই ফসল উৎপাদনে পরিশ্রমও কম।

কৃষকের ক্ষেতে গম গাছগুলো দোল খাচ্ছে। কোনো কোনো জমিতে মেশিনের মাধ্যমে ফসল কাটা হচ্ছে। চাষিরা গম ঘরে তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। বাজারে ন্যায্য দাম নিশ্চিত হলে লাভের আশা করছেন তারা। কৃষকদের ধারনা প্রতি বিঘায় ৩০-৩৫ মণ গমের উৎপাদন হবে।

শালবাহান ইউনিয়নের গম চাষি আব্দুল কাদের বলেন, আমি প্রতি বছরের মতো এবছরও গমের আবাদ করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। আশা করছি বিঘাপ্রতি ৩০-৩৫ মণ ফলন পাবো। আর বাজারে ভালো দামে বিক্রি করে লাভবান হতে পারবো। এখন জমি থেকে গম কেটে ঘরে তুলছি।

তেঁতুলিয়ার বাবুয়ানিজোত গ্রামের চাষি নজরুল ইসলাম বলেন, চলতি বছর আমি দেড় বিঘা জমিতে গমের চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে। এখন গম কাটতেছি। ন্যায্য দামে বিক্রি করে লাভবান হতে পারলে আগামীতে আরো বেশি জমিতে গমের চাষ করবো।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক শাহ আলম মিয়া বলেন, চলতি বছর পঞ্চগড়ে ২০ হাজার ২৪০ হেক্টর জমিতে গমের চাষ হয়েছে। বর্তমানে ৫০ ভাগ কৃষকের জমির গম কাটা হয়ে গেছে। প্রায় ৮৩ হাজার ৫০০ টন গম উৎপাদনের আশা করা যাচ্ছে। এছাড়াও কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে। আমরা কৃষকদের প্রণোদনা হিসেবে বিনামূল্যে উন্নতজাতের বারি গমের বীজ, সার ও বালাইনাশকসহ অন্যান্য উপকরণ বিতরণ করে সহযোগিতা করেছি।

Advertisement