Homeসব খবরজেলার খবরকুমিল্লায় মাল্টা চাষে লাখ টাকা আয় করছেন আশিকুর!

কুমিল্লায় মাল্টা চাষে লাখ টাকা আয় করছেন আশিকুর!

২০২০ সালের করোনাকালীন সময়ে যখন দেশে লকডাউন চলছিল। তখন আশিকুর উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগীতায় তার ১ বিঘা জমিতে মাটি ভরাট করে মাল্টা চাষ শুরু করেন। কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার পূর্ণমতি গ্রামের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা মো. আশিকুর রাহমান দিপু মাল্টা চাষ করে সফল হয়েছেন। কৃষি অফিস থেকে বারি মাল্টা-১ এর চারা সংগ্রহ করে চাষ করেন। তার এই সফলতাকে অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল হিসেবে মনে করেন তিনি।

উদ্যোক্তা মোঃ আশিকুর রহমান দিপু বলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের আমার মাল্টা চাষ করার আগ্রহের কথা জানাই। তারপর শাসনগাছা হর্টিকালচার সেন্টার থেকে “বছরব্যাপি ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন” প্রকল্পের আওতায় দেয়া হয় বারি মাল্টা-১ এর চারা, সার, প্রুনিং শেয়ার সহ নানা উপকরণ। লকডাউনের কারণে যখন বাইরে বের হওয়া নিষেধ তখন আমি বাগানে চারা রোপন করি। এখন আমার বাগানে ৬৫টি মাল্টা গাছ রয়েছে। প্রায় সবগুলো গাছেই মাল্টা এসেছে। গড়ে প্রতি গাছে ১৫ কেজি করে মাল্টা ধরেছে। এবছর বাগান থেকে প্রায় ১ টন মাল্টা বিক্রি করতে পারবো। বাগান থেকেই প্রতি কেজি মাল্টা ১০০-১১০ টাকা করে বিক্রি করছি। এতে আনুমানিক ১ লক্ষ টাকার মতো আয় হবে।

তিনি আরও বলেন, বাগানে মাল্টার পাশাপাশি সাথী ফসল হিসেবে ব্রোকলি, টমেটো, কুমড়া চাষ করেছি। বাগানে সার দেওয়া, রোগ হলে পোকা দমন সহ বাকি সকল খরচ সাথী ফসল থেকে আসা লাভেই করতে পারি। এতে বাড়তি খরচ হয় না। কিছুদিন আগে উপজেলার ফল মেলায় মাল্টা প্রদর্শন করেছি। বুড়িচং এর বাসিন্দাদের নিজেদের মাল্টা খাওয়াতে পারবো, এটাই তৃপ্তি।

অতিরিক্ত কৃষি অফিসার বানিন রায় বলেন, মাল্টা একটি লাভজনক ফল। এ উপজেলায় অনেক উঁচু জমি খালি পড়ে থাকতো। এখন সেই জমি গুলোতে বিভিন্ন ধরনের ফল চাষ হচ্ছে। কয়েকজন উদ্যোক্তা কুল, মাল্টা, ড্রাগন, পেঁপে ও কলা চাষে সফলতা পেয়েছে। দিন দিন এমন আরো তরুণ উদ্যোক্তা বাড়বে। কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী বাগান করলে ফলন বৃদ্ধি হবে এবং উদ্যোক্তারা লাভবান হবেন।

Advertisement