Homeসব খবরবিনোদনইউরোপের মানুষের উচিত একবার হলেও বাংলাদেশে আসা : নাতালিয়া

ইউরোপের মানুষের উচিত একবার হলেও বাংলাদেশে আসা : নাতালিয়া

নাতালিয়া নাতাশা। তিনি পূর্ব ইউরোপের দেশ বেলারুশের মেয়ে। কখনো কি ভেবেছিলেন তার পাতে উঠবে বাংলাদেশের নদ-নদীর মাছ? গায়ে মাখবেন এ দেশের সবুজ-শ্যামলিমার হৃদয় শীতল করা হাওয়া। বৈবাহিক সূত্রে নাতালিয়া এখন বাংলাদেশে। খাচ্ছেন ইলিশ ভাজা। ঘুরছেন কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে অলি-গলি। ভাসছেন শ্বশুরের দেশের মানুষের শুভেচ্ছায়।

বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের ছেলে হাবিবুর রহমানের স্ত্রী নাতালিয়া। তাদের ইউটিউব চ্যানেল ‘নাতালিয়া অ্যান্ড হাবিব: দ্য মিক্সম্যাচ ফ্যামিলি’ ও ফেসবুক পেজ ‘নাতালিয়া অ্যান্ড হাবিব’ দুজনকে পরিচিত করেছে বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বাঙালিদের কাছে। প্রতিদিন এই দম্পতির সাংসারিক খুনসুটি ও মজার মজার ভিডিও দেখছে লাখ লাখ মানুষ। এই যুগলের আছে ফুটফুটে এক কন্যা। নাম তার নাদিয়া। নাদিয়া-নাতালিয়াকে চিনতে এতদিনে কারও বাকি নেই।

তাদের বিয়ে হয়েছে ২০১৭ সালে। তবে গত ২০ ডিসেম্বর এই দম্পতি বাংলাদেশে আসেন। পরদিনই রাজধানীর মিরপুরের বাসার ছাদে গায়ে হলুদ করেন। আর বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ২৩ ডিসেম্বর। যেখানে ছিল বাঙালিয়ানার ছাপ। সেই সাথে আগামী বছর শীতে ফের বাংলাদেশে আসার ইচ্ছের কথা জানালেন এই দম্পতি।

২০১৭ সালে ধর্মীয়ভাবে বিয়ের পর আবার ২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর জার্মানির নিয়মনীতি মেনে তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয়। হাবিব এখন জার্মানির একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালটিং ফার্মে ইন্টারন্যাশনাল প্রজেক্ট ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত। নাতালিয়া কাজ করছেন ফার্মাসিস্ট হিসেবে। তারা থাকছেন জার্মানির পূর্বাঞ্চলের সাক্সনি অঙ্গরাজ্যের কেমনিজ শহরে।

এদিকে, শখের বশেই ‘নাতালিয়া অ্যান্ড হাবিব-দ্য মিক্স ম্যাচ ফ্যামিলি’ নামে ইউটিউব চ্যানেল ও ‘নাতালিয়া অ্যান্ড হাবি’ নামে ফেসবুক পেজ খোলেন তারা। নিত্যদিনের কাজ ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক বার্তামূলক ভিডিও তৈরি করে সেখানে পোস্ট করতে থাকেন। ধীরে ধীরে তাদের অনুসারী বাড়তে থাকে।

এখন এ দুজনের ‘নাতালিয়া অ্যান্ড হাবিব’ ফেসবুক পেজে অনুসারীর সংখ্যা সাড়ে পাঁচ লাখ প্রায়। আর ইউটিউবে ‘নাতালিয়া অ্যান্ড হাবিব-দ্য মিক্স ম্যাচ ফ্যামিলি’ চ্যানেলে অনুসারীর সংখ্যা প্রায় চার লাখ ৭০ হাজার।

এই দম্পতি জানান, তারা সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য কিছু করতে চান। আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি সচেতনতামূলক ভিডিও বানানো ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গেও কাজ করতে চান হাবিব-নাতালিয়া। বাংলাদেশে শ্বশুর বাড়ি এসে তিনি মুগ্ধ এ দেশের মানুষের আতিথেয়তা দেখে। মজেছেন এ দেশের জাতীয় মাছ ইলিশেও। নাতালিয়ার আক্ষেপ, বিদেশে যদি ইলিশ পাওয়া যেতো, তাহলে প্রায়ই রান্না করতেন।

বিদেশি বউ পেয়ে খুশি পুরো পরিবার

নাতালিয়ার মতো বউ পেয়ে খুশি হাবিবুরের মা দেলোয়ারা বেগম। তিনি বলেন, বিদেশি বউ অনেক ভালো। সব সময় খোঁজখবর নেয়। বাংলাদেশি খাবার অনেক পছন্দ করে। নাতনি নাদিয়া তো দাদি বলতেই পাগল। হাবিবুরের বড় ভাই আজহার মাহমুদ বলেন, বিদেশ থেকেই পরিবারের সবার খোঁজ রাখে নাতালিয়া। জন্মদিনে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পরিবারের সবাইকে উইশ করে। পরিবারের সবার খোঁজখবরও নেয় নিয়মিত।

হাবিবুরের পছন্দের খাবারশ্বশুরবাড়ি বেলারুশে একবার গিয়েছিলেন হাবিবুর। যত্নআত্তি কম হয়নি সেখানে। নানা রকম পিঠা, মাছ, মাংসের গ্রিল দিয়ে আপ্যায়িত হয়েছেন সেখানে। হাবিবুর জানান, শ্বশুরের হাতে তৈরি মুরগির গ্রিল অনেক পছন্দ তার।

Advertisement