Homeসব খবরজেলার খবরসৈয়দপুরে ফুলকপি চাষাবাদ করে কৃষকের সাফল্য

সৈয়দপুরে ফুলকপি চাষাবাদ করে কৃষকের সাফল্য

নীলফামারীর সৈয়দপুরের সবজি গ্রাম বোতলাগাড়িতে কৃষকরা ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ শীতের শাকসবজি আবাদ করে লাভবান হচ্ছেন। এসব শাক-সবজি আগাম বাজারে আসায় দামও পাচ্ছেন ভালো কৃষকরা। কৃষি বিভাগের পরামর্শে এসব শাক-সবজির আবাদ কৃষকের আশির্বাদ হয়েছে।

উপজেলার কামারপুকুর, কাশিরাম বেলপুকুর, বাঙালিপুর, বোতলাগাড়ি ও খাতামধুপুর ইউনিয়নে শুরু হয়েছে সবজি চাষের ব্যস্ততা। এরমধ্যে সবচেয়ে আগে সবজি বাজারে আনেন উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা। শীতকালীন মূলা, ফুলকপি, পাতা কপি, সিম, টমেটো, লালশাক, পালংশাক, পুঁই শাক উল্লেখিত এলাকার কৃষকরা আগেই বাজারে নিয়ে আসেন।

উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়ন। চলতি মৌসুমে অধিক লাভের আশায় ফুলকপি চাষাবাদ করেছেন এই ইউনিয়নের বড়দহ গ্রামের আবুল হোসেন। সঠিক পরিচর্যা ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ফলনও বেশ ভালো হয়েছে তার। আগাম জাতের এ সবজি চাষ করে দাম বেশি পাওয়ায় তার চোখেমুখে হাসির ঝিলিক। তার এই চাষাবাদ দেখে ওই ইউনিয়ন এর প্রায় ২০ কৃষক ঝুকে পড়েছেন এই আবাদে। শুধু বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের শাক-সবজির চাষাবাদে সৈয়দপুরের চাহিদা মিটিয়ে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা উপজেলার হাট বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে।

কৃষক আবুল হোসেন বলেন, ‘আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় চলতি মৌসুমে তিনি ৪ একর জমিতে ফুলকপি চাষাবাদ করেছেন। এর মধ্যে প্রায় ২ একর জমির ফুলকপি বাজারে বিক্রি করেছেন। এতে খরচের ৩ গুন লাভ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে বাকি জমির ফুলকপি বিক্রি করে যথেষ্ট লাভবান হবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে আগাম জাতের ফুলকপি বা বাধাকপির চাষাবাদ করলে সব কৃষকই লাভবান হবেন।’

ওই ইউনিয়নের আরেক কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, আবুল হোসেনের চাষাবাদ দেখে তিনি ৩ একর জমিতে ফুলকপি, ২ একর জমিতে বাঁধাকপি ও ১ একর জমিতে সিমের চাষাবাদ করেছেন। গত মৌসুমে চাষাবাদ করে যে পরিমান ক্ষতি হয়েছে, বর্তমান মৌসুমে তার কয়েকগুন বেশি লাভবান হবেন বলে আশা করছেন তিনি। ভরা মৌসুমে এসব সবজির চাষাবাদ করলে বাজারে দাম তেমন একটা পাওয়া যায় না বলেই এবারে আগাম চাষাবাদ করেছেন বলে জানান।

সবজি বিক্রেতা আলমগীর কবির বলেন, সৈয়দপুরের বাজারে শীতকালীন সবজি উঠতে শুরু করেছে। ভাল মানের ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। টমেটো ১৩০ টাকা, মুলা ও বাঁধাকপি ৬০ টাকা ও সিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। এসব সবজি আগাম চাষাবাদ করে বাজারে উঠার কারনেই দাম চড়া। তবে মাসখানেক পর দাম এমনটা থাকবে না বলে জানান তিনি।

সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভুষণ রায় বলেন, ‘সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়ন ও বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নে সবজির আগাম চাষাবাদ হয়। এই দুই ইউনিয়ন এর কৃষকদের চাষাবাদের কারণে সৈয়দপুরের চাহিদা মিটিয়ে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন অঞ্চলে তা সরবরাহ করা হয়। কৃষকরা কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শ মতে চাষাবাদ করেন তাহলে কোন কৃষকই লোকসানের কবলে পড়বেন না।’

তিনি বলেন, ‘এবছর লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আগাম সবজির চাষ করেছেন কৃষকরা। যা বাজারে উঠতে শুরু করেছে। এতে ভালো পয়সা পাচ্ছেন কৃষকরা।’

Advertisement