Homeসব খবরজেলার খবরবি'ষমুক্ত বেগুন চাষে বাম্পার ফলন, দামে খুশি কৃষকরা!

বি’ষমুক্ত বেগুন চাষে বাম্পার ফলন, দামে খুশি কৃষকরা!

চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও এই উপজেলার মাটি উর্রব হওয়ায় বেগুনের অধিক ফলন হয়েছে। এছাড়াও অধিক ফলনের পাশাপাশি বাজারে বিষমুক্ত বেগুনের চাহিদাও বেশি। তাই বাজারদরও ভালো। এতে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারছেন। টুঙ্গিপাড়ায় বিষমুক্ত বেগুন চাষে বাম্পার ফলন পেয়ে খুশি কৃষকরা।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ৫ ইউনিয়নে ৫০ হেক্টর জমিতে বেগুনের চাষ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় আরো ২০ হেক্টর বেশি। এতে কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের বিনামূল্যে সার, বীজ, নেট সহ ফল ও ডগা ছিদ্রকারী পোকা দমনের জন্য ফেরোমন ফাঁদ দেওয়া হয়েছে। উপজেলার ৭৫ জন কৃষক ভাঙর, বিটি বেগুন ও বারি বেগুন-৫ এই তিন জাতের বেগুনের চাষাবাদ করেছেন।

লেবুতলা গ্রামের কৃষক হানিফ ফকির বলেন, গত বছর বেগুন চাষে লাভবান হতে পেরেছি। তাই এবছর ৫ বিঘা জমিতে বিটি বেগুনের চাষ করেছি। কৃষি বিভাগের পরামর্শে ফেরোমন ফাঁদ দিয়ে পোকা দমন করেছি, পরিমান মত বালাই নাশক দিয়েছি। জমিতে বেগুনের ব্যাপক ফলন হয়েছে। শুরুতে প্রতি কেজি বেগুন ৮০-১০০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। এখন দাম অনেকটা কমে গেছে। বর্তমানে পাইকারি ২৫ টাকা দরে বিক্রি করতে পারছি।  তাই বেগুন বিক্রি করে লাভবান হতে পেরেছি। কৃষি অফিস সহযোগিতা করায় বেগুন চাষে খরচ কম হয়েছে।

দক্ষিণ বসুরিয়া মনির মোল্লা ও ফায়জুল মোল্লা বলেন, এবছর ২ বিঘা জমিতে ভাঙর জাতের বেগুন চাষ করেছি। বেগুনে পোকার আক্রমন বেশি হয়। তাই বেশি পরিমানে কিটনাশক দিতে হয়। এবছর কৃষি বিভাগের পরামর্শে ফেরোমন ফাঁদ দিয়ে ফল ও ডগাছিদ্রকারী পোকা দমন করেছি। পরিমিত মাত্রায় বালাই নাশক প্রয়োগ করেছি। আর বাজারে বিষমুক্ত বেগুন ভালো দামে বিক্রি করতে পেরে আমরা লাভবান হয়েছি। তাই বিষমুক্ত বেগুন চাষে খরচও কম লেগেছে।

গ্রামের আরেক চাষি রবিউল মিয়া বলেন, এবছরআমি বেগুনের চাষ করেনি। আমিও আগামীতে ১ একর জমিতে বেগুনের চাষ করবো। আমার আশেপাশের সবাই আধুনিক পদ্ধতিতে বিষমুক্ত বেগুন চাষ করে লাভবান হয়েছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত মাত্রায় কীটনাশক ও রাসায়নিক সার দিয়ে উৎপাদিত সবজি মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক। তাই এবছর টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ৭৫ জন কৃষককে বিষমুক্ত সবজি চাষের প্রশিক্ষণ দেই। পাশাপাশি বেগুন চাষের জন্য বিনামূল্যে সার ও বীজ দিয়েছি। আমাদের পরামর্শ অনুযায়ী চাষ করে কুষকরা বাম্পার ফলন পেয়েছেন। বেগুনের বাজারদর ভালো থাকায় কৃষকরা লাভবান হতে পেরেছেন। এবছর হেক্টর প্রতি জমিতে ৩৫ মেট্রিক টন বেগুনের ফলন হয়েছে।

Advertisement