Homeসব খবরজেলার খবরবরিশালে তরমুজের বাম্পার ফলন

বরিশালে তরমুজের বাম্পার ফলন

তরমুজের দ্বিগুণ উৎপাদন হলেও খুচরা বাজারে তরমুজের দাম অনেক বেশি হওয়ায় অসন্তোষ সাধারন ক্রেতারা। চলতি বছর বরিশালের তরমুজ চাষিরা বাম্পার ফলন পেয়েছেন। বিগত বছরের তুলানায় তরমুজের রেকর্ড পরিমান উৎপাদন হয়েছে।

বরিশাল নগরীর পোর্ট রোডে আড়তগুলোতে বিভিন্ন স্থান থেকে চাষিরা ট্রলারে করে তাদের উৎপাদিত তরমুজ বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন। আবার এখান থেকেই তরমুজ দেশের বিভিন্ন জেলায় চলে যাচ্ছে। কিন্তু বাজারে তরমুজের দাম অনেক বাড়তি বলে ক্রেতারা অভিযোগ করেছেন। অধিক উৎপাদনের ফলে খুচরা বাজারে তরমুজের ব্যাপক সরবরাহ রয়েছে।

চালিতাবুনিয়া গ্ৰামের চাষি নান্নান গাজী বলেন, আমি এ বছর প্রায় ৬ বিঘা জমিতে তরমুজের চাষ করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গত বছরের তুলনায় এবছর তরমুজের ব্যাপক ফলন পেয়েছি। জমিতে ফল তেমন নষ্ট হয়নি। বাজারে দামও ভালো পাচ্ছি। এবার তরমুজ বিক্রি করে অনেক লাভবান হতে পারবো বলে আশা করছি। সাইজ অনুযায়ী বাজারে ১০০ তরমুজ ৫ হাজার থেকে সাড়ে ২২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছি।

নগরীর চৌমাথা বাজারে তরমুজ কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর তরমুজ দাম অনেক বেশি। গত বছর যে তরমুজ ১৫০-২০০ টাকা দিয়ে কিনেছি সেই তরমুজ এখন ৩০০-৩৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। ফলে ক্রেতাদের বাধ্য হয়েই এই দামে কিনে নিতে হচ্ছে।

চৌমাথা বাজারের কয়েকজন বিক্রেতা বলেন, পাইকারি আড়তে তরমুজের দাম বেশি। আমাদের সেখান থেকে বেশী দামে কিনতে হচ্ছে। এ কারণে বাজারে তরমুজের দাম বাড়তি। ফলে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বেশি দামে বিক্রিও করতে হচ্ছে।

বরিশাল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানা যায়, এ বছর বরিশালের ৬ জেলায় প্রায় ৬৪ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। তার মধ্যে পটুয়াখালী, বরগুনা এবং ভোলা জেলায় সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) মো. মুছা ইবনে সাঈদ বলেন, চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও গাছের কোনো রোগবালাই না হওয়ায় তরমুজের অধিক ফলন হয়েছে। বাজারে আগাম তরমুজের চাহিদা ও দাম বেশি থাকে বলে কৃষকরা আগাম চাষ করে থাকেন। আশা করছি চাষিরা লাভবান হতে পারবেন। এবছর রমজান শুরু হওয়াতে চাষিরা তাদের উৎপাদিত তরমুজ ভালো দামে বিক্রি করতে পারছেন।

Advertisement