গুণী অভিনেতা দেশের স্বনামধন্য নাট্যজন শ্রদ্ধেয় মামুনুর রশীদের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এবার কথা বললেন হিরো আলম। সোমবার নিজের ফেসবুক পেইজে এক স্টাটাসে বিষয়টি জানিয়েছেন হিরো আলম নিজেই। তিনি বলেন, প্রিয় দেশবাসী, আসসালামু আলাইকুম। সবাইকে মাহে রমজানুল মুবারকের শুভেচ্ছা।
গত রোরবার একটি সাক্ষাৎকারে দেশের স্বনামধন্য নাট্যজন শ্রদ্ধেয় মামুনুর রশীদ স্যার আমাকে নিয়ে অনেক কথা বলেছেন। আমি অতিক্ষুদ্র মানুষ। সততা ও সৎসাহসই আমার একমাত্র সম্বল। মামুনুর রশীদ স্যারের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আজ রাত ১০টা ৩০ মিনিটে লাইভে কিছু কথা বলবো। শাসন করা তাকেই মানায়, আদর করেন যিনি।
এর আগে হিরো আলমকে নিয়ে নাট্যজন মামুনুর রশীদ আরও বলেন, ‘হিরো আলমের এই উত্থান কুরুচি, কুশিক্ষা ও অপসংস্কৃতির উত্থান। এই উত্থান কীভাবে রোধ করা যাবে, এটা যেমন রাজনৈতিক সমস্যা, আবার তেমনি আমাদের সাংস্কৃতিক সমস্যাও।’
‘আমরা একটা রুচির দুর্ভিক্ষের মধ্যে পড়েছি। আর সেখান থেকে হিরো আলমের মতো একজন মানুষের উত্থান হয়েছে’। সম্প্রতি দেশের একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কথাগুলো বলেছেন নাট্যকার, অভিনেতা ও নাট্য পরিচালক মামুনুর রশিদ। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পক্ষে-বিপক্ষে নানা ধরনের কথা হচ্ছে।’
ওই সাক্ষাৎকারে মামুনুর রশিদ জানান, হিরো আলম সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না তার। নাট্যাঙ্গনের কিছু মানুষ তার (হিরো আলম) কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবহিত করেছিলেন। তারপর থেকেই হিরো আলমকে নিয়ে তিনি বিরক্ত ছিলেন।
গুণী নাট্যজন হিরো আলম সম্পর্কে বলেন, ‘কয়েকজন বলার পর খোঁজ নিয়ে জানতে পারি- সে যখন সংসদ নির্বাচন করছে, তাকে কেউ একটা গাড়ি দিচ্ছে। সেই গাড়ির আবার ৯-১০ বছর ধরে কোনো ফিটনেস নেই। তাকে নিয়ে অনেক দিনই আমি বিরক্ত ছিলাম। এ নিয়েও বিরক্ত ছিলাম, দেশের মানুষের তো রুচির দুর্ভিক্ষ হয়ে গেছে।’
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আলোচনায় জায়গা করে নিয়েছেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। প্রথমে মিউজিক ভিডিওতে মডেল হওয়ার মাধ্যমে যাত্রা করলেও পরবর্তীতে কখনো গান গাওয়া, সিনেমা নির্মাণ, কবিতা আবৃত্তি করা এবং নির্বাচনে অংশ নেয়া। সময়ভেদে ইস্যু নিয়ে প্রায় সময়ই আলোচনায় থাকেন হিরো আলম।