Homeসব খবরক্রিকেটএশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিলো বাংলাদেশ

এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিলো বাংলাদেশ

বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিলো সাকিববাহিনী। জাগিয়েছিল জয়ের আশাও। তবে ১৯তম ওভারেরই হার নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের। শেষ ওভারের আনুষ্ঠানিকতায় এসে তেমন ভালো কিছু করতে পারেননি মেহেদি হাসান। ফলে ২ উইকেটের হারে বিদায় নিলো বাংলাদেশ। দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের ১৮৩ রানের জবাবে ৪ বল ও ২ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করেছে শ্রীলঙ্কা। এই ম্যাচ হেরে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিলো বাংলাদেশ। আর আফগানিস্তানের পর গ্রুপ বি থেকে সুপার ফোরে গেলো লঙ্কানরা।

১৮৩ রানের সংগ্রহ নিয়ে মোটামুটি জয়ের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। আর এবাদতের বোলিংয়ে সেই স্বপ্ন যেন ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছিল। কিন্তু কীসে যে কী হয়ে গেলো বোঝা গেলো না। হঠাৎ ফিল্ডিং মিস, ক্যাচ মিসের মহড়া শুরু হলো। ওয়াইড নো সমানে দিতে থাকেন বোলাররাও। মিরাজের হাত ফসকে ক্যাচ পড়ে যাওয়ার মতো টাইগারদের হাত গলে বেরিয়ে গেছে জয়। নিতে হয়েছে বিদায়।

দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান তোলে টাইগাররা। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন আফিফ হোসেন। ২২ বলে ৩৯ রান করেন তিনি। এছাড়া মেহেদি হাসান মিরাজ দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ৩৮ রানের পর ফিরে যান। মোসাদ্দেক ৯ বলে ২৪ রানের একটি ছোট্ট ক্যামিও ইনিংস খেলেন।

এর আগে বহুদিন পর মাঠে নামা সাব্বির ব্যর্থ হয়ে ফেরেন ৫ রানে। ২৪ রানে ফেরেন সাকিব। মুশফিক ৪ রানের বেশি করতে পারেননি। মাহমুদউল্লাহ ২২ বলে ২৭ রান করেন। আর তাসকিন শেষ দিকে ১১ রান করেন।লঙ্কানদের হয়ে হাসারাঙ্গা ও করুনারত্নে দুটি করে উইকেট নেন। এছাড়া মাদুশানাকা, থিকসেনা ও আসিথা ফার্নান্দো একটি করে উইকেট নেন।

১৮৪ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নিয়ে খেই হারিয়ে ফেলে লঙ্কানরা। টি-টুয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে অভিষিক্ত এবাদত হোসেনের গতিতে লঙ্কান টপঅর্ডারে নামে ধস। কিন্তু কুশল মেন্ডিস ও দাসুন শানাকার কাছে পরাস্ত হয়েছে টাইগাররা। মেন্ডিস ৩৭ বল খেলে করেন ৬০ রান আর শানাকা ৩৩ বলে ৪৫ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন। এবাদত প্রথম ২ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নিলেও পরের ওভারে কোনো উইকেট না পেলেও ৩৮। যা দলকে জয় থেকে দূরে ঠেলে দেয়। ৬টি ওয়াইড ও দুইবার নো বল করে বসেন অভিষিক্ত এই পেসার।

তাসকিন আহমেদ ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে নেন দুটি উইকেট। মোস্তাফিজুর রহমান মাহদী হাসান একটি করে উইকেট শিকার করেন।

Advertisement