সম্প্রতি পেশাগত জীবনে এগিয়ে চলার পথে নানা বিপত্তির কথা ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন ভারতের বিধানসভার সদস্য ও নায়িকা মিমি চক্রবর্তী। নায়িকা হতে গিয়ে কতকিছু সহ্য করতে হয়েছে, সেই ফিরিস্তি দিলেন ভারতের টালিগঞ্জের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী।
তিনি জানান, নায়িকা হওয়ার জন্য ইন’জেকশন নিয়ে ‘রোগা’ হতে হয়েছিল তাকে। চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির ‘যোগ্য’ হয়ে উঠতে আর কী কী কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে, তা নিয়েও অকপট কথা বলেছেন তিনি। এ অভিনেত্রীর ভাষ্যে, সৌন্দর্যের শুরু সেখানেই- যখন তুমি প্রকৃত অর্থেই ‘তুমি’ হয়ে উঠতে পার।
সোমবার কমলা রঙের পোশাকে একটি ছবি শেয়ার করে মিমি লিখেছেন, ছবিটি কোনো সম্পাদনা ছাড়া সচেতনভাবে পোস্ট করেছেন তিনি। যারা তার ইনস্টাগ্রামে যুক্ত আছেন, তারা এই সত্যটি যেন জানতে পারেন, এখন কোনো ছবির জন্য খুব বেশি ‘এডিটিং সফটওয়্যার’ ব্যবহার করেন না তিনি। আমরা সবাই মানুষ। নিখুঁত হওয়া সম্ভব না। মুখে ব্রণ হলেও তা আনন্দের সঙ্গে আমি উপভোগ করি। কোনো ফিল্টার ছাড়াই ছবি পোস্ট করি।
দিন শেষে এসব কিছুর গুরুত্ব নেই বলে মনে করেন এই অভিনেত্রী। তার ভাষায়, নিজের শরীরকে গ্রহণ করতে ও ভালবাসতে শিখে গেছেন তিনি।
অথচ এই শরীর ও চেহারা নিয়েই একসময় ‘নিরাপত্তাহীনতায়’ ভুগতে হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এর জন্য আমি যে কী কী করেছি, তা বোঝাতে পারব না। রোগা হওয়ার জন্য ইন’জেকশন নিয়েছি। পাগলের মত ভুলভাল ডায়েট করেছি।
“না খেয়েও থেকেছি। নিজের ছবি দেখে নিজেরই পছন্দ হত না। কত মানুষ আমায় কালো বলেছেন। মোটাও বলেছেন। বলেছেন আমার কোনো বিশেষ প্রতিভা নেই।”
এইসব নেতি’বাচক মন্তব্যের জবাব দিয়ে অভিনেত্রী বলেন, কারো হাসিমুখের ছবির সঙ্গে বাস্তবের মিল নাও থাকতে পারে। ছবিতে যারা নেতি’বাচক মন্তব্য করেন, তারা জানেন না সেই মানুষটা বাস্তবে ঠিক কী পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। মিমির উপলব্ধি, নিজেকে ভালোবাসা ও ভালো রাখাই জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত।