Homeসব খবরজেলার খবরসবজি চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের!

সবজি চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের!

অবশ্য কোনো কোনো এলাকার চাষি আগেভাগেই খেতে শীতের সবজি চাষ করেছেন। এরই মধ্যে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, বেগুন, লাউ, করল্লা, পেঁপে, বোরবটি, শিমসহ বেশ কিছু শীতের আগাম সবজি বাজারে উঠেছে। ঠাকুরগাঁওয়ের ভারী কোন শিল্পকারখানা না খাকায় মাঠে মাঠে শীতকালীন সবজি চাষের প্রতি ঝুকছে কৃষক।

স্থানীয়দের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এসব সবজি যাচ্ছে ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে। এতে লাভবান হচ্ছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। আর ভোক্তারা পাচ্ছেন বিভিন্ন ধরনের আগাম সবজি। ব্যবসায়ী ওহায়েদ মুরাদ ও সুজন মিয়া জানান, সবজির মান ভালো হওয়ায় পাইকারি দরে কিনে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। গতবার এই সময়ে প্রতিদিন এক থেকে দুইটা ট্রাক লোড হয়েছিল। এবার আগাম সবজির ফলন বেশি হওয়ায় দৈনিক ৪-৫টা করে সবজির গাড়ি লোড করে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় পাঠাচ্ছেন।

সবজির যে বাজার দর, এমন দাম থাকলে লাভবান হবেন বলে আশা করেন কৃষক মো. হানিফ। তিনি বলেন, আমি দেড় বিঘা জমিতে বেগুন আবাদ করেছি। আশা করছি মৌসুম শেষে দেড় বিঘার বেগুনে প্রায় ৫০-৬০ হাজার টাকা লাভ হবে। এতে প্রতি সপ্তাহে ১০-১৫ হাজার টাকার বেগুন বিক্রয় করছি।

উপজেলার নারগুন কহরপাড়া গ্রামের চাষি আব্দুল মালেক চাষ করেছেন বিভিন্ন সবজি। ইতোমধ্যে পালং শাক তুলে বাজারজাত করছেন তিনি। তিনি বলেন, পালং শাক শুধু ৭ কাঠা জমিতে করেছি। খরচ হয়েছে ৩ হাজার টাকা। ৩ কাঠা জমির শাক কেটে বিক্রি করেছি সাড়ে ৬ হাজার টাকা। আর যদি এর থেকে দাম বেশি হয় তাহলে আশা করছি ২০ হাজার টাকা বিক্রয় হবে। আরও বাকি যেই শাক আছে, বর্তমান বাজার অনুযায়ী তা প্রায় ১৫ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবো।

চাষি আল-আমীন বলেন, এবার ফুলকপি, লাউসহ অন্যান্য সবজির দাম অনেক হলেও মুলার দাম নেই। এখনও আমার ৫ একর জমির মুলা বিক্রি করতে পারিনি। এতে আমরা চাষিরা খুব হতাশায় আছি। জমি থেকে মুলা তুলে বিক্রয় করে সেই মজুরির টাকায় হয় না।

কৃষক মনিরুজ্জামন মনির অভিযোগ করেন, খুচরা বাজারে সবজির অনেক দাম সেই তুলনায় কৃষক পর্যায়ে তারা ন্যায্য ও কাঙ্খিত দাম পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, এবার আমাদের এদিকে প্রচুর সবজির আবাদ হয়েছে ফলনও ভালো। কিন্তু আমরা চাষিরা সেরকম দাম পাচ্ছি না। এদিকে সার কীটনাশক ও মজুরির দাম অনেক বেড়ে গেছে। এছাড়াও টাকা দিয়ে আমরা সার পাচ্ছি না। সেই তুলনায় কৃষরা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছি না। তাই দামটা যদি আরও একটু বেশি পেতাম, তাহলে কৃষকরা লাভবান হতে পারতাম। বর্তমান সবজির বাজার অনুযায়ী খরচ ও ফলনের দাম সমান সমান হয়ে যাচ্ছে।

জেলা কৃষি অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. মো. আব্দুল আজিজ বলেন, সবজি চাষে সার্বক্ষণিক কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আশাকরি আবহাওয়া ভালো থাকায় সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। আগাম সবজি চাষে কৃষকরা ভালো দাম পাচ্ছেন বলে আগাম সবজি চাষে ঝুঁকছেন অনেক কৃষক।

Advertisement