Homeসব খবরক্রিকেটম্যাচ জিতে বাংলাদেশি সমর্থকদের নাগিন ড্যান্স দেখালেন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা

ম্যাচ জিতে বাংলাদেশি সমর্থকদের নাগিন ড্যান্স দেখালেন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা

পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচ জিতে নাগিন নাচ করলেন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার চামিকা করুণারত্নে। চার বছর আগে নিদাহাস ট্রফির সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ মুখোমুখি হয়েছিল। সেই ম্যাচ জিতে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা মাঠের ভিতরেই নাগিন নাচ শুরু করে দেন। দ্বীপরাষ্ট্রে হারার মধুর প্রতিশোধ দুবাইয়ে নিল শ্রীলঙ্কা।

এশিয়া কাপের মরণ-বাঁচন ম্যাচে শেষ ওভার করার জন্য শাকিব আল হাসান বল তুলে দেন মেহদি হাসানের হাতে। শেষ ওভারে জেতার জন্য শ্রীলঙ্কার দরকার ছিল আট রান। চার বল বাকি থাকতে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা। ম্যাচ জেতার পরে ক্যামেরায় ধরা পড়ে শ্রীলঙ্কার ড্রেসিংরুমের ছবি। সেখানে দেখা যায় চামিকা করুণারত্নে নাগিন ড্যান্স করে বাংলাদেশের সমর্থকদের ট্রোল করছেন।

নিদাহাস ট্রফির সেমিফাইনালে বাংলাদেশের প্লেয়ারদের এহেন নাচ নিয়ে তীব্র বিতর্ক হয়। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা নাগিন ড্যান্স শুরু করে দেন মাঠের ভিতরে। সেবারের নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। শেষ চারের লড়াইয়ে হেরে যাওয়ায় ফাইনালে বাংলাদেশকে সমর্থন করেনি শ্রীলঙ্কার মানুষ। ফাইনালে দীনেশ কার্তিক বিস্ফোরক ইনিংস খেলে ভারতকে জিতিয়ে দেন।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচের বল গড়ানোর আগে থেকেই পারদ চড়েছিল। দ্বীপরাষ্ট্রের অধিনায়ক শানাকা বাংলাদেশকে টীপ্পনী কেটে বলেছিলেন, ”মুস্তাফিজুর রহমান ভাল বোলার। শাকিব আল হাসানও বিশ্বমানের ক্রিকেটার। এই দু’ জন ছাড়া বাংলাদেশে ভাল কোনও বোলার নেই। বাংলাদেশ প্রতিপক্ষ হিসেবে সহজ।” শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নামার আগে খালেদ মাহমুদ আবার বলেন, ”শ্রীলঙ্কা দলে বিশ্বমানের কোনও বোলারই আমি দেখতে পাচ্ছি না।”

বাংলাদেশ অবশ্য ম্যাচে ভাল বোলারের অভাব অনুভব করেছে। শেষের দিকে বল করার জন্য অধিনায়ক শাকিব আল হাসানের হাতে ছিল না কোনও পেস বোলার। শেষ ওভারে স্পিনারের হাতে বল তুলে দেন শাকিব। শেষ ওভারে যে কোনও ব্যাটারই স্পিনারকে আক্রমণের রাস্তা নেবেন। মেহেদি হাসান আটকে রাখতে পারেননি শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের। এবাদত হোসেন তিনটি উইকেট নিলেও প্রচুর রান দিয়ে ফেলেন। মুস্তাফিজুর রহমানের মতো বাঁ হাতি বোলারও আটকে রাখতে পারেননি শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের। ফলে শাকিবকে অসহায় ভাবে দেখতে হয়েছে ম্যাচ বেরিয়ে যাচ্ছে।

Advertisement