Homeসব খবরজাতীয়মিলছে না যাত্রী: বরিশালে লঞ্চ বন্ধ, স্থগিত ফ্লাইট

মিলছে না যাত্রী: বরিশালে লঞ্চ বন্ধ, স্থগিত ফ্লাইট

পদ্মা সেতু চালুর পর বরিশালের সড়ক পথে ঢাকা-বরিশাল রুটে নতুন করে ২০ থেকে ২৫টি কোম্পানি যুক্ত হয়েছে। এতে বর্তমানে দক্ষিণের ছয় জেলার সড়কপথে অন্তত ৫০০ বাস চলাচল করছে। পাশাপাশি যাত্রীদের সেবা নিশ্চিত করতে ভাড়া সাধ্যের মধ্যে রাখা হয়েছে বলে মত যাত্রীদের।

এদিকে, টিকিটে মূল্য ছাড় চলছে ঢাকা-বরিশাল নৌ ও আকাশ পথে। তবু আগের মতো মিলছে না যাত্রী। অনেকের মতে, বিভিন্ন সময় নানা অজুহাতে যাত্রীদের জিম্মি করে ভাড়া বাড়িয়ে নিয়েছে লঞ্চ মালিকরা। সুযোগের সৎ ব্যবহার করেছে এয়ারলাইনগুলো। পদ্মা সেতু চালুর পর জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে সড়ক পথকেই বেছে নিয়েছে যাত্রীরা। এ কারণে ঢাকা-বরিশাল আকাশপথে চলাচলকারী নভোএয়ার আগামী ১ আগস্ট থেকে এই রুটে তাদের ফ্লাইট পরিচালনা স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছে।

গত মঙ্গলবার থেকে বন্ধ হয়ে গেছে দ্রুতগামী নৌযান এমভি গ্রিন লাইন-৩। পদ্মা সেতুর এই ঢেউ শুধু নৌপথেই নয়, এবার আকাশপথেও লেগেছে।  ইউএস বাংলার বরিশালের বিপণন কার্যালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, এখন ঢাকা-বরিশাল রুটে তাদের ৭০ আসনের উড়োজাহাজ যাত্রী পরিবহন করছে। সেতু চালু হওয়ার পর প্রায়ই প্রতিটি ফ্লাইটে এক-তৃতীয়াংশ আসন ফাঁকা যাচ্ছে। এ অবস্থায় ইউএস বাংলা কত দিন এই রুটে সেবা দিতে পারবে তা নিয়েও শঙ্কায় আছে প্রতিষ্ঠানটি।

অন্যদিকে, পদ্মা সেতু চালুর পর ঢাকায় যাতায়াতে সময় কমে গেছে। খরচ কমে আসায় আকাশপথে যাত্রী কমেছে। গত শনিবার থেকে বিমানের ভাড়া ৩ হাজার ২০০ থেকে কমিয়ে ৩ হাজার টাকা করা হয়েছে।

এছাড়াও পদ্মা সেতু চালুর পর খুব স্বল্প সময়ে ঢাকা যেতে পারছে যাত্রীরা। এতে বিভিন্ন কোম্পানির গাড়ি যুক্ত হয়েছে। এরই মধ্যে ইলিশ পরিবহন, গ্রিনলাইন, শ্যামলী পরিবহনসহ ২০ থেকে ২৫টি পরিবহন কোম্পানি যুক্ত হয়েছে। বর্তমানে সব মিলিয়ে ৫০০ মতো বাস চলাচল করছে। যাত্রীদের সেবা নিশ্চিত করতে বাসগুলো সরকার নির্ধারিত ভাড়াই নিচ্ছে। এসি বাসের ভাড়া ৭০০ টাকা হলেও নেয়া হয় ৬০০ টাকা। আর ননএসি বাসের ভাড়া সরকার নির্ধারিত ৪২০ টাকার পরিবর্তে ৪০০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে।

Advertisement