Homeসব খবরজেলার খবরবাঙ্গি চাষে বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

বাঙ্গি চাষে বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

কম খরচে ও অল্প সময়ে এই ফল চাষ করা যায়। স্থানীয় বাজার সহ পুরো দেশে এর ব্যাপক চাহিদা থাকায় উৎপাদিত বাঙ্গি বিক্রি করে কৃষকরা লাভবান হতে পারেন। ফলে প্রতি বছরেই এর চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবহাওয়া প্রচন্ড গরম। এই গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে বাঙ্গি একটি উপযোগি ফল। চলতি বছর কুমিল্লার দেবিদ্বারে বাঙ্গির বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।

কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার গুনাইঘর ইউনিয়নের শাকতলা এবং ধামতী উত্তর পাড়া এলাকায় বাঙ্গির ব্যাপক চাষ করা হয়। এখানকার চাষিরা প্রায় ৪০ বছর ধরে এর চাষ করে আসছেন। এতে প্রায় ১৫০ বিঘা জমিতে শতাধিক চাষি বাঙ্গি চাষের সাথে জড়িত। এই দুই গ্রাম এখন বাঙ্গি চাষের জন্য বেশ সুনাম অর্জন করেছে। এটি কাচা থাকা অবস্থায় সবজি হিসেবেও খাওয়া যায়। কম খরচে বেশি উৎপাদন ও এর ব্যাপক চাহিদা থাকায় চাষিরা বিক্রি করে লাভবান হতে পারেন। মূলত এটি পাকলেই বেশি সুমিষ্ট হয়। একেকটি বাঙ্গি এক থেকে চার কেজি ওজনের পর্যন্ত হতে পারে।

কৃষক কেরামত আলী বলেন, আমি এবছর আমার ৪ বিঘা জমিতে বাঙ্গির চাষ করেছি। চাষে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ইতোমধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার বাঙ্গি বিক্রি করেছি। এবছর গরম আর রমজান একসাথে পাওয়ায় লাভ বেশি হয়েছে। আরো প্রায় ১০ হাজার টাকার বিক্রি করতে পারবো।

ধামতী উত্তর পাড়ার কৃষক মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা প্রতি বছরই বাঙ্গি চাষ করে থাকি। এর চাষের জন্য আমরা নিজেরাই বীজ সংগ্রহ করে রাখি। গত বছর আবহাওয়ার প্রতিকূলতার করণে ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছিলাম। গরম আর রমজান মাস একসাথে পাওয়ায় বিক্রি করে লাভ করতে পেরেছি। তবে এবছর বাঙ্গির বাম্পার ফলন পেয়েছি।

উপজেলরা কৃষি কর্মকর্তা সইদুজ্জামান জিহাদ বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর বেশি ফলন হয়েছে। গত বছর শিলা বৃষ্টির কারণে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলেন। আমরা কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা করছি। তবে এবছর ফলন বেশি হওয়ায় কৃষকরা গত বছরের লোকসান পুষিয়ে লাভবান হতে পেরেছেন।

Advertisement