Homeসব খবরজেলার খবরকরলার অধিক ফলন ও বাজারদরে কৃষক মাহবুবের স্বপ্ন পূরণ!

করলার অধিক ফলন ও বাজারদরে কৃষক মাহবুবের স্বপ্ন পূরণ!

সবুজ এই জমি ঘিরেই তার স্বপ্ন। তার স্বপ্ন সফলতার মাধ্যমে বাস্তবে রূপান্তর হচ্ছে। তার মাচায় শত শত করলা ও তার সফলতা দেখে অনেকেই করলা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। জয়পুরহাটে মাচায় হাইব্রিড ঝলক জাতের করলা চাষে কৃষক মাহবুব সফল হয়েছেন। তার মাচায় এখন ঝুলছে শত শত করলা।

কৃষক মাহবুব জয়পুরহাট জেলার সদর উপজেলার ধলাহারের রামকৃষ্ণপুর এলাকার বাসিন্দা। খাদ্য গুণাগুন সমৃদ্ধ ও উচ্চমূল্যের হাইব্রিড ’ঝলক’ জাতের করলা চাষ করে সফল হয়েছেন। গত ২৭ আগস্ট করলার বীজ রোপন করলে নভেম্বরের শুরুতেই গাছে করলা ধরতে শুরু করে। তার পাশাপাশি অনেকেই করলা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। তিনি স্থানীয় একটি বে-সরকারী উন্নয়ন সংস্থার সমন্বিত কৃষি ইউনিটের পরিবেশ বান্ধব মালচিং পেপার ব্যবহার প্রদর্শনীর আওতায় ওই করলা চাষ করছেন।

মাহবুব বলেন, আমি ৩৩ শতাংশ জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে হাইব্রিড ঝলক জাতের করলা চাষ করি। বীজ বপনের ২ মাসেই গাছে করলা ধরতে শুরু করে। স্থানীয় একটি বে-সরকারী উন্নয়ন সংস্থার পরামর্শে করলা চাষ করে দ্বিগুণ ফলন পেয়েছি। এই করলা খাদ্য গুণাগুন সমৃদ্ধ এবং বাজারে এর দামও ভালো। প্রতি কেজি করলা ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। করলা চষে আমার ২৬ হাজার ৭০০ টাকা খরচ হয়েছে। প্রথম দিনেই ৮ হাজার ১৯০ টাকার করলা তুলে বিক্রি করি। আশা করছি আরো ১ লাখ ২০ হাজার টাকার করলা বিক্রি করতে পারবো। এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার টাকার করলা বিক্রি করেছি।

কৃষি বিভাগের সূত্র মতে, জয়পুরহাট জেলায় ২০২২-২৩ মৌসুমে ১০৫ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের করলা চাষ হয়েছে। জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত উপ পরিচালক কৃষিবিদ আব্দুল করিম বলেন, মালর্চি পেপার ব্যবহার করে করলা চাষ করলে দ্বিগুণ ফলন পাওয়া যায়। পরিবেশ বান্ধব মালচিং পেপার ব্যবহারে গাছ অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও অতি বৃষ্টি থেকে রক্ষা পায়। কৃষকরা অধিক ফলন পাচ্ছেন পাশাপাশি বাজারদরেও খুশি তারা। এ ছাড়াও সারের অপচ’য় রোধ , আগাছা দমন, মাটির আদ্রতা নিয়ন্ত্রণ, পানির ধারন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ফলে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।

Advertisement