মা’দকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মাম’লায় চার দিনের রিমা’ন্ডে রয়েছেন ঢালিউড অভিনেত্রী পরীমনি। এ মা’মলার সাক্ষ্য প্রমাণে তার বি’রুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদ’ণ্ড হতে পারে। হতে পারে অর্থদ’ণ্ডও।
বুধবার (৪ আগস্ট) রাতে বনানীর বাসা হতে পরীমনিকে আ’টক করে র্যাব সদর-দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। ২০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় বনানী থানায় তাকে হস্তান্তর করে র্যাব। এরপর র্যাব বাদী হয়ে মা’দকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মাম’লা করে। মাম’লায় মা’দকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ২০১৮-এর ৩৬ (১) এর সারণি ২৪ (খ)/৩৬(১) এর সারণি ২৯(ক)/৩৬ (১) এর সারণি ১০ (ক)/৪২(১)/৪১ ধারা দেয়া হয়।
মাদ’কদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৩৬ (১) এর সারণি ২৪ (খ) ধারায় বলা হয়েছে, মা’দকদ্রব্যের পরিমাণ ১০ কেজি বা লিটারের বেশি এবং ১০০ কেজি বা লিটারের কম হলে কমপক্ষে তিন বছর ও সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদ’ণ্ড ও অর্থদ’ণ্ড হবে।
৩৬ (১) এর সারণি ১০ (ক) ধারায় বলা হয়েছে, মা’দকদ্রব্যের পরিমাণ সর্বোচ্চ ২০০ গ্রাম বা মিলিলিটার হলে কমপক্ষে এক বছর ও সর্বোচ্চ পাঁচ বছরে কারাদ’ণ্ড ও অর্থদ’ণ্ড হবে। ৪২ (১) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি এ আই’ন অথবা বিধির কোনো বিধান লঙ্ঘ’ন করে যাতে স্বতন্ত্র কোনো দ’ণ্ড নেই, তাহলে তিনি ওই অপরা’ধের জন্য সর্বোচ্চ এক বছর কারা’দণ্ড ও অর্থদ’ণ্ডে দ’ণ্ডিত হবেন।
৪১ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি কোনো মাদ’কদ্রব্য অপ’রাধ সংঘটনে কাউকে প্ররোচনা দিলে অথবা সাহায্য করলে অথবা কারও সঙ্গে ষড়য’ন্ত্রে লিপ্ত হলে অথবা এ উদ্দেশ্যে কোনো উদ্যোগ অথবা চেষ্টা করলে মাদ’কদ্রব্য অপরাধ সংঘটিত হোক বা না হোক, তিনি সংশ্লিষ্ট অপ’রাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ডের মতো দ’ণ্ড পাবেন।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ২৮ মিনিটে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পরীমনিকে হাজির করা হয়। এরপর মাদ’ক মা’মলায় তাকে সাত দিনের রিমা’ন্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানা।
অন্যদিকে পরীমনির আইনজীবী রিমা’ন্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে চার দিনের রি’মান্ড মঞ্জুর করেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে আলোচিত নায়িকা পরীমনি ও প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের বিরু’দ্ধে মাদ’কদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে র্যাব বাদী হয়ে পৃথক দুটি মা’মলা করে। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে র্যাব সদর-দফতর থেকে কালো একটি মাইক্রোবাসে তাদের বনানী থানায় নেয়া হয়। পরে তাদের বনানী থানায় হস্তান্তর করে র্যাব।