২০২১ সাল বাংলাদেশের জন্য ভুলে যাওয়ার মতো একটা বছর। নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জেতা ছাড়া খুব বেশি মনে রাখার মতো কিছু করে দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ দল। বিশ্বকাপের ব্যার্থতার পর বাংলাদেশ দল ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট এবং টি-২০ দুই ফর্মেটেই হোয়াইটওয়াশ হয়। টানা ব্যার্থতার মধ্যেও বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা কয়েকটা রেকর্ড গড়েছেন। আজ দেখে নেয়া যাক সেসব রেকর্ড।
সাকিবের টি-২০ তে সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিক হওয়ার রেকর্ড:
টি২০ বিশ্বকাপের সময় বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান লাসিথ মালিঙ্গার ১০৭ উইকেটের রেকর্ড ভেঙে সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিক হন। বর্তমানে সাকিবের উইকেট সংখ্যা ১১৭। সাকিবের পরেই রয়েছেন কিউই পেসার টিম সাউদি। তার উইকেট সংখ্যা ১১১।
এক বছরে সবচেয়ে বেশি টি-২০ জেতার রেকর্ড:
২০২১ সালে বাংলাদেশ সর্বমোট ১১ টি টি-২০ ম্যাচ জিতেছে। যা এক বছরে সবচেয়ে বেশি জয়ের রেকর্ড বাংলাদেশের জন্য। এর আগে ২০১৬ সালে বাংলাদেশ দল সর্বোচ্চ ৭ টি ম্যাচ জিতেছিলো। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ডের সাথে সিরিজ জেতা ছাড়াও বাংলাদেশ দল জিম্বাবুয়েতে গিয়ে তাদের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজ জিতেছে। যা তাদের এক বছরে সর্বোচ্চ জয়ের রেকর্ড গড়তে সাহায্য করেছে।
টি-২০ ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে রিয়াদের সবচেয়ে বেশি সাফল্য
নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার সাথে ঘরের মাঠে সিরিজ জিতার মধ্য দিয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ হয়ে যান টি-২০ তে বাংলাদেশর সবচেয়ে সফলতম অধিনায়ক। রিয়াদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দল এখন পর্যন্ত ১৫ টা ম্যাচ জিতেছে। এর আগে মাশরাফির নেতৃত্বে ক্রিকেটের ছোট সংস্করণে বাংলাদেশ দল জিতেছিলো ১০ টি ম্যাচ।
টি-২০ তে মোহাম্মদ নাইমের এক বছরে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড:
২০২১ সাল বাংলাদেশ দলের ভালো না কাটলেও দুর্দান্ত কেটেছে বাঁহাতি ওপেনার মোহাম্মদ নাইম শেখের। এই বছর টি-২০ ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৭৫ রান করেছেন নাইম। যা একবছরে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
একমাত্র বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে সাকিবের ৪০০০ হাজার রানের সাথে ২০০ উইকেটের রেকর্ড:
বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব আল হাসান। একের পর এক রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটের রেকর্ড বুকে নিজের নাম সমৃদ্ধ করেছেন তিনি। এই বছর গড়েছেন নতুন এক রেকর্ড। প্রথম বাংলাদেশী ক্রিকেটার হিসেবে ৪০২৯ রানের পাশাপাশি ২১৫ উইকেট নিয়েছেন সাকিব।