Homeঅন্যান্যশান্তার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করবেন মাশরাফী

শান্তার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করবেন মাশরাফী

আমরা অনেকেই আগে শুনেছি সরকারি অনেক কর্মকতারা অনেক গরীব বা অসহায়দের পাশে দাড়িয়েছেন। তেমনি এক পরিবারের পাশে দাড়ালেন এমপি মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। ।

যশোর মেডিকেল কলেজে প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া ছাত্রী শান্তা সেন।তিনি মেডিকেল কলেজে চান্স পাওয়ার পর আনন্দের সাথে দুশ্চিন্তায় পরে যান বাবা-মা।ঋণ করে মেয়েকে ভর্তি করেও পড়ালেখা করাতে পারবেন কি না,সে বিষয়ে ভাবতে থাকেন তারা। আর এ চিন্তার অবসান ঘটান হুইপ ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা।

বুধবার (২০ মার্চ) শান্তা সেনের মা শিবানী সেন বলেন,আমার মেয়েকে ঋণ করে মেডিকেলে ভর্তি করলেও পড়াতে পারবো কি না, এতো খরচ চালাবো কিভাবে এসব দুশ্চিন্তায় পার করছিলাম। সেই চিন্তা থেকে আমাদের মুক্ত করেছেন এমপি মাশরাফী । আমার মেয়ের ভর্তিতে যে টাকা ঋণগ্রস্ত হয়েছিলাম সেই টাকা আমার বাড়িতে লোক পাঠিয়ে দিয়ে গেছেন। আর বলেছেন আমার মেয়ের (শান্তা সেন) মেডিকেলে পড়াশোনার যাবতীয় খরচ তিনি দিবেন। এমন একজন এমপি পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার!

মেডিকেল শিক্ষার্থী শান্তা সেনের মা আরও বলেন, ‘এতদিন শুনেছি ও দেখেছি এলাকার উন্নয়নে এমপি মাশরাফীর বিকল্প নেই, ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার ব্যাপারে তিনি সহযোগিতা করেন। আজ নিজের মেয়েকে দিয়ে প্রমাণ পেলাম। মাশরাফীর তুলনা শুধুই মাশরাফী। আশীর্বাদ করি সৃষ্টিকর্তা মাশরাফী ও তার পরিবারকে সুস্থ রাখুন, তিনি যেন গরীব দুঃখী, অসহায়দের পাশে থেকে নড়াইলের উন্নয়ন করে যেতে পারেন।’

জানা যায়, শান্তা সেন নড়াইল সদরের বড় মিতনা গ্রামের কৃষক শিবুপদ সেনের মেয়ে। সে চাঁচড়া এন.ইউ.বি. মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০২১ সালে এসএসসি ও নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ২০২৩ সালে জিপিএ ৫.০০ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পাবনা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান, পরে মাইগ্রেশনে যশোর মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন।

গত মাসে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় ও ঋণ করে মেয়েকে যশোর মেডিকেলে ভর্তি করেন কৃষক পিতা শিবুপদ সেন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক, সংসদ হুইপ ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা জানতে পেরে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক স্বপ্নীল শিকদার নীলের মাধ্যমে বুধবার (২০ মার্চ) নগদ অর্থ পৌঁছে দেন শান্তার পরিবারের কাছে।

মেডিকেল শিক্ষার্থী শান্তা বলেন, ‘আমার বাবা-মা আমাকে মেডিকেলে পড়ানোর খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন। মাশরাফী ভাই জানতে পেরে নীল ভাইকে পাঠিয়ে আমাদের বাড়িতে টাকা পাঠিয়েছেন। আরও বলেছেন, মেডিকেলে পড়ার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করবেন। মাশরাফী ভাই যেমন একজন মানবিক এমপি, আমিও দায়বদ্ধতার যায়গা থেকে মেডিকেলে পড়া শেষ করে একজন মানবিক ডাক্তার হয়ে সবার সেবা করব।’

বিষয়টি নিশ্চিত হতে হুইপ মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সময় সংবাদকে বলেন, ‘দেখুন নানা প্রতিকূলতায় আমাদের আশপাশের অনেক মেধাবী ছেলে মেয়েরা ঝরে পড়ে যায়। উপযুক্ত পরিবেশ পেলে এসব ছেলেমেয়েরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশের কল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত করতে পারবে।

শুধু শান্তাই নয়, আমার ছোট ভাই বোনদের পড়াশোনায় যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করতে পারলে নিজে আনন্দ পাই। আর ভবিষ্যতেও আমি আমার সাধ্যমত করে যাব। এদের সবার অংশ গ্রহণে নড়াইলকে প্রজন্মের শ্রেষ্ঠ বাসস্থান হিসাবে গড়ে তুলতে চাই।’

Advertisement