Homeসব খবরজেলার খবরভাসমান খাঁচায় মাছ চাষে স্বাবলম্বী হানিফ

ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষে স্বাবলম্বী হানিফ

ভাসমান পদ্ধতিতে মাছ চাষে শুধু সফল হননি পেয়েছেন সেরা মৎস্যজীবীর স্বীকৃতি। তার সফলতা দেখে অনেকেই মাছ চাষের প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন। কুমিল্লা দাউদকান্দির মোঃ হানিফ নদীতে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। উপজেলায় মৎস্য বিভাগে প্রশিক্ষণ নিয়ে এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করেন।

পারিবারিক আর্থিক স্বচ্ছলতার জন্য দীর্ঘদিন বিদেশে থাকেন। সেখান থেকে ফিরে এসে অন্য ব্যবসা করলেও তেমন ফল পাননি। তাই নতুন কিছু করার চিন্তা থেকে বন্ধুর পরামর্শে উপজেলা মৎস্য বিভাগ থেকে খাঁচায় মাছ চাষের প্রশিক্ষণ নেন। তার মৎস্য বিভাগের সহযোগীতায় একটি দল গঠন করে দিয়ে প্রথমে ১০টি খাঁচাতে মাছ চাষ শুরু করেন। অন্যান্য চাষিরা তাকে সফল হতে দেখে তারাও প্রশিক্ষণ নিয়ে মাছ চাষ করার আগ্রহের কথা জানান। সফলতা পাওয়ায় ধীরে ধীরে খাঁচার সংখ্যা বাড়তে থাকে।

মৎস্য চাষি মোঃ হানিফ বলেন, বিদেশ থেকে দেশে ফিরে অল্প পরিসরে ব্যবসা করি। তাতে তেমন সফলতা না পেলে সহপাঠি বন্ধুর পরামর্শে উপজেলার মৎস্য বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে খাঁচায় মাছ চাষ করা শুরু করি। মৎস্য বিভাগ প্রশিক্ষণ শেষে আমাদের একটি দল গঠন করে ১০ টি খাঁচা দেয় মাছ চাষ করার জন্য। আমরা সেই ১০টি খাঁচায় মাছ চাষ করে লাভবান হই। মৎস্য বিভাগের অফিসাররা নিয়মিত পরিদর্শন করেন। ২০টি খাঁচাতে আমরা আবার মাছ চাষ শুরু করি। আর লাভবানও হই। লাভবান হওয়ায় সন্তুষ্ট হয়ে তারা আমাদের আরো ১০টি খাঁচা দেন।

তিনি আরও বলেন, ২০টি খাঁচাতে লাভবান হওয়ার পর আমরা নিজ উদ্যোগে লাভের টাকা ও কিছু পুঁজি মিলিয়ে আরো ২০টি খাঁচা তৈরী করে চাষ করি। বর্তমানে ৪০টি খাঁচায় তেলাপিয়া, পাঙাশ ও গ্রাসকার্প জাতিয় মাছ চাষ করছি। আর আমরা খাঁচার সংখ্যা বৃদ্ধি করে চাষ আরো বাড়াতে পারবো ইনশাআল্লাহ। আশা করছি আমরা আরো লাভবান হবো।

তিনি বলেন, যদি কোনো নতুন উদ্যোক্তা খাঁচায় মাছ চাষের উদ্যোগ নিতে চায় ও আমার কাছে এই পদ্ধতিতে চাষের জন্য পরামর্শ চায় আমি অবশ্যই সহযোগীতা করবো।

Advertisement