Homeসব খবরআন্তর্জাতিকবোরকা পরে ছাত্রীর সাহসী প্রতিবাদ, যা বললেন মালালা

বোরকা পরে ছাত্রীর সাহসী প্রতিবাদ, যা বললেন মালালা

ভারতের কর্ণাটকে হিজাব নিয়ে চলছে উ’ত্তেজনা। রাজ্যটির কয়েকটি স্কুল ও কলেজে হিজাব পরে যাওয়া ছাত্রীদের প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এর ফলে ছাত্রীরা প্রতিবাদ করেন। বিষয়টি নিয়ে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছেন কয়েকজন ছাত্রী। ছাত্রীদের এ আ’ন্দোলনের বিপক্ষে কাজ করছে ছাত্রদের একটি দল।

গেরুয়া চাদর পরা ওই ছাত্ররা দাবি করছে, যদি মেয়েদের হিজাব পরে আসার অনুমতি দেওয়া হয়ং তাহলে তাদেরও গেরুয়া চাদর পরে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। একত্রিত হয়ে ওই ছাত্ররা অনেকটা ভয়-ভীতিই দেখাচ্ছে ছাত্রীদের। তবে তাদের ভয় উপেক্ষা করে হিজাব পরে কর্ণাটকের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হন মুসকান নামের এক ছাত্রী। প্রতিষ্ঠানটিতে প্রবেশ করার পর ওই ছাত্ররা তাকে ভয়-ভীতি দেখানোর চেষ্টা করে।

কিন্তু মুসকান একা থাকা স্বত্ত্বেও সেই ছাত্রদের সামনে প্রতিবাদ করে। পরবর্তীতে শিক্ষকরা এসে তাকে সরিয়ে দেয়। গণমাধ্যম ভারতের এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই ছাত্রী বলেন, আমি কলেজে যাচ্ছিলাম। কিন্তু বোরকা পরে থাকায় আমাকে কলেজে প্রবেশ করতে দিচ্ছিল না। তারা জয় শ্রীরাম বলে স্লোগান দিচ্ছিল। আমি একটুও ভয় পাইনি। আমিও আল্লাহু আকবার বলে স্লোগান দেই। পরে শিক্ষকরা এসে আমাকে সরিয়ে দেন।

মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এক টুইট বার্তায় কর্ণাটকের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুসলিম মেয়েদের প্রবেশ করতে না দেওয়া নিয়ে এই উদ্বেগ জানিয়েছেন পাকিস্তানের নোবেলজয়ী শিক্ষা ও নারী অধিকার কর্মী মালালা ইউসুফজাই।

কর্ণাটকের চলমান পরিস্থিতির ব্যাপারে টুইটে মালালা বলেছেন, মেয়েদের হিজাব পরে স্কুলে যেতে অস্বীকৃতি জানানো ভয়’ঙ্কর ঘটনা। নারী কম অথবা বেশি পোশাক পরলেও আপত্তি থাকে। ভারতীয় নেতাদের অবশ্যই মুসলিম নারীদের প্রান্তিকীকরণ বন্ধ করতে হবে।

এদিকে প্রায় এক মাস আগে কর্ণাটকের উদুপুরের পিইউ গার্লস কলেজে প্রথম হিজাব নিয়ে ঘটনা ঘটেছিল। ওই কলেজটির ছাত্রীরা হিজাব পরে শ্রেণিকক্ষে অংশ নেওয়ার জন্য সংগাম চালিয়ে যাচ্ছে। কলেজটির একজন ছাত্রী হিজাব, হেডস্কার্ফ পরে শ্রেণিকক্ষে অংশ নিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। সূত্র: এনডিটিভি

Advertisement