Homeসব খবরজাতীয়পদ্মা সেতুতে গাড়ি থামিয়ে সেলফি তোলায় জরিমানা

পদ্মা সেতুতে গাড়ি থামিয়ে সেলফি তোলায় জরিমানা

সম্প্রতি পদ্মা সেতুতে অবৈধভাবে প্রাইভেটকার পার্কিং করে টিকটক ভিডিও বানানোর দায়ে ফখরুল আলম নামে এক যুবককে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে তাকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডও দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল রবিবার ভোর থেকে থেকেই সাধারণ যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে পদ্মাসেতু। প্রথমবারই সেতু দিয়ে পার হতে পেরে উচ্ছ্বসিত চালক ও যাত্রীরা। তবে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হলেও পদ্মা সেতুতে দাঁড়ানো বা ছবি তোলা নিষেধ। তবে প্রথম দিন থেকেই সেতুতে চলছে নিয়ম ভাঙার হিড়িক। গাড়ি থামিয়ে কেউ তুলছেন ছবি আবার কেউ সেতুতে সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে করছেন টিকটক ভিডিও।

আজ সোমবার (২৭ জুন) পদ্মা সেতু চালুর দ্বিতীয় দিনে ওই যুবককে এ সাজা দেয়া হয়া। এদিন দুপুর পৌনে ২টায় পদ্মা সেতুর মাঝামাঝিতে সেতু কর্তৃপক্ষের নিয়ম ভাঙার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত এ জরিমানা করেন। এ সময় অর্থদণ্ডপ্রাপ্ত যুবক তার অপরাধ স্বীকার করে জরিমানার টাকা পরিশোধ করেন। মূলত জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়া্র পর থেকেই উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দিচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার ৭/৮ জনের একটি গ্রুপ গাড়ি নিয়ে পদ্মা সেতুতে ঘুরতে আসে। এ সময় গাড়ি থামিয়ে সেতুর মাঝামাঝি স্থানে অবৈধ পার্কিং ও টিকটক ভিডিও করার দায়ে কয়েকজনকে জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ফখরুলকে জরিমানা অনাদায়ে কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়।

বেলা দেড়টার দিকে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাধারণ ও প্রবাসী কল্যাণ শাখার সহকারী কমিশনার মো. আশরাফুল কবীর এ জরিমানা করেন। তিনিবলেন, আমরা পদ্মা সেতুর মুন্সীগঞ্জ অংশে অবস্থান করছিলাম। আজ বেলা দেড়টার দিকে সেতুর মাঝখানে প্রাইভেটকার থামিয়ে সাত থেকে আটজন ব্যক্তি সেতুতে অবস্থান করেন। তিনি আরও বলেন, সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য এবং অবৈধভাবে সেতুর উপর গাড়ি পার্কিং করার অপরাধে তাদের এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদেরকে সতর্ক করে দেয়া হয়।

আশরাফুল কবির জানান, কুমিল্লা থেকে প্রাইভেটকারে করে তারা পদ্মা সেতু দেখতে আসেন। এরপর মাওয়া টোল প্লাজায় টোল দিয়ে সেতুতে ওঠেন। মাঝ সেতুতে প্রাইভেটকার থামিয়ে সেলফি তুলছিলেন তারা। ওই ব্যক্তিরা ভবিষ্যতে এমন কাজ করবেন না বলে স্বীকার করলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি আরও জানান, কেউ যাতে সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য না করতে পারেন সে জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজরদারি করা হচ্ছে।

Advertisement