Homeসব খবরবিনোদনদীর্ঘ ৩০ বছরে একবারও শ্বশুরবাড়ি যাননি আসিফ আকবর

দীর্ঘ ৩০ বছরে একবারও শ্বশুরবাড়ি যাননি আসিফ আকবর

গত ১০ জুলাই ছিল কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর ও তার স্ত্রী সালমা আসিফ মিতুর ৩০তম বিবাহবার্ষিকী। ঠিক ৩০ বছর আগের এই দিনে তারা বিাবহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। দীর্ঘ এই ৩০ বছরে একবারের জন্যও শ্বশুরবাড়ি যাননি বাংলা গানের যুবরাজ আসিফ। তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিমন্ত্রণও করেনি মিতুর পরিবার। আলোচিত এই ঘটনাটি সম্প্রতি সামনে এসেছে সাংবাদিক সোহেল অটলের লেখা আসিফ আকবরের জীবনীগ্রন্থ ‘আকবর ফিফটি নট আউট’-এর মাধ্যমে। বইতে লেখক এমনটিই লিখেছেন।

বইয়ে লেখা ঘটনা থেকে জানা যায়, ১৯৯২ সালের জুলাই মাসে এক বর্ষণমুখর সন্ধ্যায় নিজেদের বাড়ি ছেড়ে পালান আসিফ আকবরের স্ত্রী মিতু। নানান ঘটনার পর ১০ জুলাই তাদের বিয়ে হয়। সদ্য ইন্টারমিডিয়েট পাশ করা এই জুটির এভাবে বিয়েটা মেনে নেননি মিতুর পরিবার। মিতুর বড়ভাই ক্রিকেট কোচ এমদাদুল হক এমদু এবং ছোটভাই জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার এনামুল হক মণি ছিলেন তার গার্ডিয়ান। তারা এই বিয়েটা কোনোভাবেই মেনে নেননি।

দীর্ঘদিন যোগাযোগহীন থাকার পর কণ্ঠশিল্পী হিসেবে আসিফ আকবর প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর মিতুর ভাইয়েরা কিছুটা নমনীয় হন। মিতুর সঙ্গে তাদের যোগাযোগ স্থাপন হয়। কিন্তু বোনের স্বামী হিসেবে আসিফ আকবরকে কখনো শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার নিমন্ত্রণ জানাননি তারা। জামাইয়ের মর্যাদা দিয়ে কখনো আসিফকে নিজেদের কাছে ডাকেননি।

এ প্রসঙ্গে কথা বলার জন্য আসিফ আকবরকে ফোন দিয়ে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে, বিয়ের ৩০ বছরে একবারের জন্যও শ্বশুরবাড়ি যেতে না পারায় আসিফ আকবরের দুঃখ আছে, কিন্তু আফসোস নেই। নিজেকে শ্বশরবাড়ি বিড়ম্বিত পুরুষ মনে করেন তিনি। ‘আকবর ফিফটি নট আউট’ বইটি পড়ে তেমনই জানা যায়।শ্বশুরবাড়ি নিয়ে আসিফ সম্পর্কে বইয়ে লেখা আছে, ‘অন্যান্য ভাইদের শ্বশুরবাড়ি নিয়ে আহ্লাদ দেখে কখনো কখনো মনের কোণে দুঃখ জমেছিল বটে; পাত্তা দেননি। শ্বশুরবাড়ি ছাড়াই তাকে এক জীবন কাটাতে হবে- এটাই নিয়তি হিসেবে মেনে নিয়েছেন।’

সম্প্রতি ৩০তম বিবাহবার্ষিকী নিয়ে নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন আসিফ আকবর। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আজ আমার ক্ষুদ্র জীবনের ঐতিহাসিক দিন। বেগম সালমা আসিফ আর আমার ত্রিশতম বিবাহবার্ষিকী। এইতো সেদিনের কথা, উনিশ বছর বয়সে ভালবেসে বিয়ের দিন আজ। সব হিসেব নিকেশের গুল্লি মেরে একসাথে বেঁচে থাকার সংগ্রামে বিজয়ী হয়েছি আমরা। আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো-মন্দ মিলিয়ে সংসার সংগ্রামে এখনো সমুন্নত আছি। আমার তিন সন্তান রণ, রুদ্র আর একমাত্র মেয়ে রঙ্গনের পক্ষ থেকে সবাইকে জানাই আন্তরিক ঈদ মোবারক।

আজকের এই দিনে জাতি হিসেবে সব ভেদাভেদ ভুলে আমরা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আশা পোষন করি। যতই বিপদ আসুক, একসাথে বাঁচবো আমরা সব হিংসা ভুলে গিয়ে। দুনিয়ার অবস্থা ভালো না, আসুন আমরা যেন আর পারস্পরিক দ্বন্দে লিপ্ত না হয়ে আনন্দ খুঁজে নেই জীবনের। দল মত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে ভালো থাকুক আমাদের সবার বাংলাদেশ।’

সূত্র: আজকালের খবর।

Advertisement