Homeসব খবরজেলার খবরতিলের অধিক ফলনে লাভবান সিরাগঞ্জের চাষিরা

তিলের অধিক ফলনে লাভবান সিরাগঞ্জের চাষিরা

তিলের চাষ পদ্ধতি খুব সহজ ও খরচ কম লাগে। আর কৃষকরা এর চাষ করে ভালো ফলনের পাশাপাশি বাজারে বেশি দামে বিক্রি করে লাভবান হতে পারেন। তাই দিন দিন এই ফসলটির চাষ বাড়ছে। সিরাজগঞ্জে তৈল জাতীয় ফসল তিলের ব্যাপক ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। এই অঞ্চলের মাটি তিল চাষের জন্য বেশ উপযোগী।

সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের চাষিরা তিলের অধিক চাষ করে থাকেন। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও তারা তিলের চাষ করেছেন। এতে গত বছরের তুলনায় এবছর বেশি ফলন পেয়েছেন। কৃষকরা তেলের পাশাপাশি তিল থেকে খৈলও পেয়ে থাকেন। যা গবাদি পশুর খাবার হিসেবে বিক্রি করে বাড়তি আয় করতে পারেন। আর বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। আনন্দে ভাসছেন তারা। ফলন বাড়ছে এবং কৃষকরা লাভবান হতে পারছেন বলে ধীরে ধীরে এর চাষ আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।

চলতি বছর কাজিপুরে ৪০০ হেক্টর জমিতে তিল চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। কিন্তু ৪৯০ হেক্টর জমিতে তিলের চাষ হয়েছে।

তিলচাষী পানাগাড়ী গ্রামের ফজলুল করিম বলেন, আমি গত বছরও তিলের চাষ করেছিলাম। গত বছরের চেয়ে এবছর তিলের ফলন খুব ভালো হয়েছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী উচ্চ ফলনশীল জাতের তিল চাষ করছি এবং উৎপাদিত ফসল বিক্রি করে লাভবান হচ্ছি।

হাটগাছা গ্রামের বাসিন্দা আলতাফ আলী বলেন, আমি প্রতি বছরই তিলের চাষ করি। এবছরও করেছি। গতবারের চেয়ে এবার বেশি ফলন পেয়েছি। তিল দিয়ে পিঠা-পুলি তৈরী করতে পারি। আর এর থেকে শুধু তেল নয়, খৈলও পাওয়া যায়। যা গবাদি পশুর গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করতে পারি। প্রতি মণ তিল ১৫০০ টাকা দরে বিক্রি করে আমরা লাভবান হতে পারি। আগামীতে আরো বেশি জমিতে চাষ করবো।

উপজেলা কৃষি অফিসার রেজাউল করিম বলেন, কাজিপুর উপজেলায় দিন দিন তিল চাষ ও চাষির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিল চাষে কৃষকরা অনেক দিক দিয়ে লাভবান হতে পারেন। এই গাছের পাতা জমিতে পড়ে পচে গেলে তা সবুজ সারের কাজ করে। এতে জমির উর্বরতা আরো বৃদ্ধি পায়। কৃষকের উৎপাদিত তিল থেকে ভোজ্য তেল ও খৈল পাওয়া যায়। আশা করছি কৃষকরা আরো বেশি লাভবান হতে পারবেন। এগুলো কৃষকরা বিক্রি করতে পারেন। পাশাপাশি এর গাছ জ্বালানী হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। আমরা কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে যেয়ে পরামর্শ ও সহযোগিতা করছি।

Advertisement