Homeসব খবরজেলার খবরট্রেনের বগি পড়ে ঘর ভেঙে চুরমার বয়স্ক দম্পতির

ট্রেনের বগি পড়ে ঘর ভেঙে চুরমার বয়স্ক দম্পতির

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট ঢুলিয়া ইউনিয়নের তেজের বাজার উরকুটি এলাকায় রেললাইনের পাশে ঘর তৈরি করে থাকতেন ৭৫ বছর বয়সী চাঁন মিয়া ও তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৬৫)। এলাকার মানুষের সহযোগীতায় ২০ বছর আগে ছোট একটি ঘরে বসবাস করতেন এই দম্পতি।

রবিবার দুপুরে ঘরের পাশে গাছের নিচে বসে কথা বলছিলেন চাঁন মিয়া ও তার স্ত্রী মনোয়ারা। হঠাৎ করে বিকট শব্দ হয়। মূহুর্তের মধ্যেই কিছু বুঝার আগেই ট্রেনের একটি বগি ছিটকে এসে পড়ে তাদের ঘরটির উপর। বগির একটি অংশ সাথে ধাক্কা খেয়ে হুমড়ি খেয়ে উল্টিয়ে পড়ে চাঁন মিয়া ও মনোয়ারা বেগম। মূহুর্তের মধ্যেই সব কিছু চোখের সামনে শেষ হয়ে যায়।

চাঁন মিয়ার শরিরের বিভিন্ন অংশে আঘাত লাগে। রক্ত জমাট বেঁধে যায় বাম চোখে। শরিরের আঘাত নিয়ে অশ্রুসিক্ত চোখে শেষ আশ্রয়স্থলটি ভেঙে যাওয়ায় আর্তনাদ করে। সারাদিন মানুষের কাছ থেকে সাহায্য পাওয়া চাল ডাল তেল আলু টমেটো মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

চাঁন মিয়ার এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলেটির নাম নাসির মিয়া। শারিরীক প্রতিবন্ধী। বউ নিয়ে ঢাকায় থাকে। মেয়ে সাহিদা বেগম স্বামীর সাথে কুমিল্লা সদর উপজেলার শাহাপাড়া এলাকায় থাকে। এতো বড় দূর্ঘটনার কথা এখনো জানাতে পারেন নি ছেলে মেয়েকে।

চাঁন মিয়া জানান, অল্পের লাইজ্ঞা আমি বাইচ্চা গেছি। বগি আমার ঘরের উপর পড়ছে। আমার সব কিছু শেষ। আমি এহন কই থাইক্কাম। আমার কাম করার শক্তি নাই। মানুষের কাছ থাইক্কা খুইজ্জা খাই। আমার ঘরের সব কিছু শেষ হইয়া গেছে। আমারে এহন কেডা সাহায্য করব?

চাঁনমিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম জানান, বাবা আমি সারাদিন মানুষের কাছ থাইক্কা খুইজ্জা যা পাই তা দিয়া কষ্ট কইরা চলি। আমার ঘরে চারটা হাঁস আছিলো। হাঁসটি ও মইরা গেছে। আমার জামাই বগির লগে ধাক্কা লাইজ্ঞা ব্যাথা পাইছে। এখন কেডা আমাগোর সাহায্য করব।

Advertisement