Homeঅন্যান্যআধুনিক পদ্ধতিতে কলা চাষ

আধুনিক পদ্ধতিতে কলা চাষ

কলা বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফল যা সারা বছর পাওয়া যায়। কলাকে প্রাচীন সাহিত্যে কদলী বলা হত। কলাগাছ, কলাপাতা, কলা গাছের শিকড় ও কলা সব‌ই উপকারী।

মাটি: পর্যাপ্ত রোদ যুক্ত পানি নিষ্কাশন সুবিধাযুক্ত উঁচু জমি কলা চাষের জন্য উপযুক্ত। উর্বর দোআঁশ মাটি কলা চাষের জন্য উত্তম। চাষ ও মই দিয়ে জমি সমতল ও আগাছা মুক্ত করে নিতে হবে।

চারা রোপণ: কলার চারা বছরে ৩ সময়ে রোপন করা যায়।

১ম রোপন কাল: আশ্বিন-কার্তিক সবচেয়ে ভালো সময়।

২য় রোপন কাল: মাঘ ফাল্গুন ভালো সময়।

৩য় রোপন কাল: চৈত্র-বৈশাখ মোটামুটি ভালো সময়।

চারার দূরত্ব: সারি থেকে সারির দূরত্ব ২ মিটার এবং চারা থেকে চারার দূরত্ব ২ মিটার।

গর্ত তৈরি: চারা রোপণের মাসখানেক আগে গর্ত খনন করতে হবে। গর্তের আকার হবে ৬০ সেমি. চ‌ওড়া ও ৬০ সেমি. গভীর। গর্ত তৈরি হয়ে গেলে গোবর ও টিএসপি সার মাটির সাথে মিশিয়ে গর্ত ভরে রাখতে হবে।

চারা রোপণ: রোপণের জন্য অসি তেউর উত্তম। অসি তেউরের পাতা সরু, সূচালো এবং অনেকটা তলোয়ারের মতো, গুরি বড় ও শক্তিশালী এবং ক্রমশ গোড়া থেকে উপরের দিকে সরু। তিন মাস বয়স্ক সুস্থ-সবল তেউড় রোগমুক্ত গাছ থেকে সংগ্রহ করতে হয়।

সা’র প্রয়োগ: অর্ধেক গোবর জমি তৈরির সময় এবং অবশিষ্ট অর্ধেক গর্তে দিতে হবে। অর্ধেক টি’এসপি একইসঙ্গে গর্তে প্রয়োগ করতে হবে। রোপণের দেড় থেকে দুই মাস পর ৪ ভাগের ১ ভাগ ইউ’রিয়া অর্ধেক এম’পিও বাকি টিএস’পি জমিতে ছিটিয়ে ভালো ভাবে কু’পিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে।

এর দুই থেকে আড়াই মাস পর গাছপ্রতি বাকি অর্ধেক এমপি ও অর্ধেক ইউ’রিয়া প্রয়োগ করতে হবে। মোচা বের হওয়ার সময় অবশিষ্ট চারভাগের একভাগ ইউ’রিয়া জমিতে ছিটিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে।

পরিচর্যা: চারা রোপণের সময় মাটিতে পর্যাপ্ত রস না থাকলে তখনই সেচ দেয়া উচিত। এছাড়া শুকনো মৌসুমে ১৫-২০ দিন পরপর সেচ দেওয়া দরকার। বর্ষার সময় কলাবাগানে যাতে পানি জমতে না পারে তার জন্য নানা থাকা আবশ্যক। মোচা আসার পর গাছপ্রতি মাত্র একটিতে তেউড় বাড়তে দেয়া ভালো।

Advertisement