Homeসব খবরজাতীয়স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পথে বাংলাদেশ

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পথে বাংলাদেশ

স্বল্পোন্নত দেশ-এলডিসি থেকে উত্তরণ ঘটলো বাংলাদেশের। বুধবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনের ৪০তম প্লেনারি সেশনে এ বিষয়ক সুপারিশ গৃহীত হয়। একমাত্র বাংলাদেশই, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের ৩টি মানদণ্ড পূরণ করেছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

দীর্ঘদিন ধরেই স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের চেষ্টা চালাচ্ছিল বাংলাদেশ। অবশেষে, সফল হলো সেই প্রচেষ্টা। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়েছে বাংলাদেশের উত্তরণের সুপারিশ। টুইট বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা। পরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বের কারণেই এই সাফল্য অর্জন হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ এবং অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ভঙ্গুরতা এই ৩টি হলো স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের মানদণ্ড। একমাত্র বাংলাদেশই সবগুলো মানদণ্ড পূরণ করেছে। এর আগে চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির বৈঠকে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পাশাপাশি নেপাল ও লাওসের ক্ষেত্রেও একই সুপারিশ করা হয়। এই ৩টি দেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের প্রস্তুতির জন্য ৫ বছর সময় পাবে। সাধারণত ৩ বছর সময় দেয়া হলেও করোনার কারণে এবার বাড়তি সময় দেয়া হলো। বর্তমানে স্বল্পোন্নত দেশের সংখ্যা ৪৭টি। এ পর্যন্ত মালদ্বীপ, বতসোয়ানা, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, সামোয়া ও কেইপ ভার্দে এলডিসি তালিকা থেকে বের হতে পেরেছে।

১৯৭১ সালে প্রথম স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা করা হয়। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।

Advertisement