Homeসব খবরক্রিকেটসংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৩২ রানে হারিয়ে সিরিজ জয় বাংলাদেশের

সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৩২ রানে হারিয়ে সিরিজ জয় বাংলাদেশের

দুই দলের মাঝে শক্তির ব্যবধান অনেক। তবে প্রথম ম্যাচে তা দেখা যায়নি। বাংলাদেশ ৭ রানে জিতলেও সন্তুষ্ট হওয়ার মতো ছিল না খেলোয়াড়দের মাঠের পারফরম্যান্স। দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য ব্যবধান গড়তে পেরেছে নুরুল হাসান সোহানের দল। সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৩২ রানে হারিয়ে ২-০ তে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ।

টাইগারদের দেয়া ১৭০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তাল মেলাতে পারেনি আমিরাত। ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকরা তোলে ১৩৭ রান। ম্যাচে শক্তির পার্থক্য স্পষ্ট হয়। রিজওয়ানের ৩৬ বলে অপরাজিত ৫১ রানের ইনিংস ও বাশিল হামিদের ৪২ রানের ইনিংস কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। ২৯ রানে চার উইকেট হারানোর পর জুটিতে ৯০ রান যোগ করেন তারা।

মোসাদ্দেক হোসেন দুটি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ, নাসুম আহমেদ ও ইবাদত হোসেন। আগের ম্যাচে খেলা দুই বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলমাকে রাখা হয় একাদশের বাইরে। সংক্ষিপ্ত সফরে মরুর দেশে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ পেলেও তা অস্ট্রেলিয়ায় টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে সহায়ক হবে কিনা সেটিই দেখার।

হারের বৃত্ত থেকে বের হয়ে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার সিরিজে প্রথম ম্যাচে বোলিং ও ফিল্ডিং ছিল খুবই বাজে। সেখান থেকে বের হতে পেরেছে বাংলাদেশ। কিছু পরীক্ষা-নীরিক্ষাও করেছে বাংলাদেশ। সাব্বির রহমানের হাতেও তুলে দেয়া হয় বল।

ওপেনিংয়ে সাব্বির রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ জুটি ধরে রাখে বাংলাদেশ। তাতে মেলে সাফল্য। ২৭ রানের জুটির পর সাব্বির ফিরলেও মিরাজ দেখান দৃঢ়তা। টি-টুয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি পাননি আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে। পেসার সাবির আলির লেগ স্টাম্পের বাইরে পিচ করা বলে বিস্ময়করভাবে দেন এলবিডব্লিউ।

৩৭ বলে পাঁচ চারে ৪৬ রান করেন মিরাজ। মেকশিফট ওপেনার ক্রিজে ছিলেন ১৫তম ওভার পর্যন্ত।একটি করে চার-ছয়ে সাব্বির ৯ বলে ১২ রান করে আউট। লিটন দাস ও আফিফ হোসেনের সঙ্গে ছোট ছোট জুটিতে দলকে টেনে নেন মিরাজ। লিটন ২০ বলে ২৫, আফিফ ১০ বলে ১৮ রান করে আউট হন। মোসাদ্দেক হোসেনের ব্যাট থেকে আসে ২২ বলে ২৭ রান।

ইয়াসির আলি ১৩ বলে ২১ ও অধিনায়ক নুরুল হাসান ১০ বলে ১৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললে বড় পুঁজিই পায় বাংলাদেশ। দুই অঙ্ক পেরোন সব ব্যাটারই। আগামীকাল টাইগারদের দেশে ফেরার কথা। ১ অক্টোবর নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে যাবে দল। সেখান থেকেই অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপ মিশনে যাবে আফিফ-লিটনরা।

Advertisement