Homeধর্মশেরপুরে মুঘল স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ

শেরপুরে মুঘল স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ

শেরপুর জেলার সদর উপজেলার পাকুরিয়া ইউনিয়নের বাদাপাড়া গ্রামে প্রতিষ্ঠিত এই মসজিদটির নির্মাণশৈলী নজর কেড়েছে জনমনে। বিস্ময়ের দ্যুতি ছড়িয়েছে চারদিকে। মসজিদটির নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের পথে হলেও প্রতিদিন স্থানীয়দের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলার আগত হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মানুষ ও দর্শনার্থী ছুটে আসেন শুধু মসজিদটি দৃষ্টি নন্দন সৌন্দর্য দেখতে।

কাঠামো নির্মাতা লিমিটেড এর সূত্রে জানা যায়, প্রায় সাত মাস ধরে এই মসজিদের কাজ চলমান প্রায় ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা এবং সৌন্দর্য্য বর্ধন ব্যয় মিলে প্রায় ১০ দশ কোটি টাকা ব্যয়ে মোঘল স্থাপত্য শৈলীর আদলে বিশ্ব ওলি খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) জামে মসজিদ নামে নামকরণ করে নির্মাণ কাজ শুরু করেন।

অনন্য স্থাপত্য শৈলীর আদলে মসজিদটির নির্মাণ কাজ চলমান। যার ৫টি গম্বুজ, ৪ টি মিনার। ৫টি গম্বুজের মধ্যে ৪ টি ছোট, ১টি বড়। ৪ টি মিনারের উচ্চতা প্রায় ১০০ ফুট এবং ৫টি গম্বুজ ও ৪ টি মিনার একই রকম কারুকার্য ও স্হাপত্য শৈলীর আদলে তৈরি করা হচ্ছে।

এই মসজিদটি চারপাশ থেকে দেখতে একই রকম মনে হবে। মসজিদের মোট ১৩ টি দরজা। যাহা তৈরীর জন্য প্রয়োজনীয় কাঠ দুবাই ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে সংগ্রহীত হবে। ১২টি জানালা যার নকশা ও কারুকার্য কংক্রীট ও কাঠের সংমিশ্রণে তৈরি হচ্ছে। মসজিদের ভিতর প্রবেশ করলে দেখা যাবে দৃষ্টিনন্দন সব ইসলামী স্হাপত্যের নকশা ও কারুকার্য।

মসজিদের সম্পূর্ণ মেহরাবটি দুবাই থেকে আমদানিকৃত কাঠের তৈরী দৃষ্টিনন্দন সব নকশা ও কারুকার্য দিয়ে তৈরী হচ্ছে। মসজিদের টাইলসগুলো ইতালি ও জার্মানি থেকে আমদানি করে লাগানো হবে। এই মসজিদের একটি অনন্য সাধারণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, বাহিরে যত তাপমাত্রাই থাকুকনা কেন, মসজিদের ভিতরে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার বেশী হবে না। এই মসজিদের ভেন্টিলেশন ও বাস্তু ব্যবস্থাপনা অনেকটাই অটোম্যান সম্রাজ্যের মসজিদ এ মেহরিনার আদলে তৈরী করা হচ্ছে।

এই মুঘল স্থাপত্যের আদলে তৈরি মসজিদটির নির্মাণ কাজ চুক্তি ভিত্তিকভাবে করছেন, কাঠামো নির্মাতা লিমিটেড নামক একটি দেশীয় প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান এবং নির্মাণব্যয় সমূহের অর্থায়নে করছেন, বিশ্ব ওলি খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ)এর কনিষ্ঠ পুত্র পীরজাদা আলহাজ্ব খাজা মোস্তফা আমীর ফয়সল মোজাদ্দেদী,মহামান্য চেয়ারম্যান জাকের পার্টি।

শেরপুর জেলা জাকের পার্টির সভাপতি খাজা শ্যামল জানান, এই মসজিদটি ১৯৯৬ সালে বিশ্ব ওলি খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেব নিজ হাতে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রায় দুই যুগ পর এই মসজিদটি নির্মান হওয়ার ফলে স্হানীয় এলাকাবাসীসহ শেরপুরবাসী খুবই উৎফুল্ল এবং আনন্দিত।

Advertisement