Homeসব খবরক্রিকেটমুম্বাই বনাম চেন্নাই ম্যাচে ভেঙে গেল এই ১০ রেকর্ড

মুম্বাই বনাম চেন্নাই ম্যাচে ভেঙে গেল এই ১০ রেকর্ড

মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বনাম চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচে রেকর্ডের ছড়াছড়ি। দেখে নেওয়া যাক যে ১০টি উল্লেখযোগ্য নজির গড়া হল এই ম্যাচে।

১) শেষ ১০ ওভারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ১৩৮ রান তোলে। আইপিএলে রান তাড়া করে জেতা ম্যাচে এখনও পর্যন্ত এটাই সর্বকালীন রেকর্ড। মুম্বই ভেঙে দেয় তাদের নিজেদেরই পুরনো নজির। ২০১৯ সালে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে রান তাড়া করে জেতা ম্যাচে শেষ ১০ ওভারে মুম্বই ১৩৩ রান তুলেছিল।

২) সার্বিকভাবে এটি টি-২০ ক্রিকেটে পরে ব্যাট করে জয়ী দলের শেষ ১০ ওভারে তৃতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। ২০১৮ সালে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়র লিগে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স সেন্ট লুসিয়ার বিরুদ্ধে শেষ ১০ ওভারে ১৪৪ রান তুলে ম্যাচ জিতেছিল। সেবছরই ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে শেষ ১০ ওভারে ১৩৯ রান তুলে ম্যাচ জেতে জামাইকা।

৩) শেষ ইনিংসে ৬ উইকেটে ২১৯ রান তুলে মুম্বইয়ের ম্যাচ জয় আইপিএলের ইতিহাসে রান তাড়া করে দ্বিতীয় বৃহত্তম জয়। গতবছর শারজায় কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের ২২৪ রান তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেটে ২২৬ রান তুলে ম্যাচ জেতে রাজস্থান রয়্যালস। আইপিএলে সেটিই এখনও পর্যন্ত রেকর্ড। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স আটবারের চেষ্টায় এই প্রথমবার ২০০ রান তাড়া করে ম্যাচ জয়ের নজির গড়ে।

৪) পোলার্ডের ১৭ বলে হাফ-সেঞ্চুরি মুম্বইয়ের হয়ে সার্বিকভাবে দ্রুততম। পোলার্ড এর আগেও ২০১৬ সালে একবার ১৭ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন। ইশান কিষাণ ২০১৮ সালে এবং হার্দিক পান্ডিয়া ২০১৯ সালে ১৭ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করেন। কাকতলীয় বিষয় হল, আগের সব ক’টি হাফ-সেঞ্চুরিই এসেছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে।

৫) পোলার্ডের ১৭ বলে হাফ-সেঞ্চুরি আইপিএলের ইতিহাসে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে দ্রুততম। ২০১৯ সালে লোকেশ রাহুল ও ২০২০ সালে সঞ্জু স্যামসন চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ১৯ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করেন। পোলার্ডের অপরাজিত ৮৭ রান আইপিএলের ইতিহাসে তাঁর ব্যক্তিগত সেরা।

৬) চেন্নাইয়ের ব্যাটসম্যানরা সম্মিলিতভাবে ১৭টি ছক্কা মারেন। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে আইপিএলের ইতিহাসে এক ম্যাচে এটিই এখনও পর্যন্ত রেকর্ড। ২০১৯ সালে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে কেকেআর মেরেছিল ১৬টি ছক্কা। চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের মারা ১৪টি ছক্কা এখনও পর্যন্ত রেকর্ড।

৭) এই প্রথমবার একই আইপিএল ইনিংসে একের বেশি শতরানের পার্টনারশিপ দেখা যায়। চেন্নাইয়ের হয়ে ডু’প্লেসি ও মঈন আলি ১০৮ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। পরে রায়াড়ু ও জাদেজা ১০২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন।

৮) ৪ উইকেটে ২১৮ রান মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে গড়া চেন্নাই সুপার কিংসের সবথেকে বড় দলগত ইনিংস। ২০০৮ সালে চিপকে চেন্নাই তুলেছিল ৫ উইকেটে ২০৮ রান।

৯) লুঙ্গি এনগিদি ৬২ রান খরচ করেন। চেন্নাইয়ের কোনও বোলার এর আগে এত রান খরচ করেননি কোনও ম্যাচে।

১০) জসপ্রীত বুমরাহ ৪ ওভারে ৫৬ রান খরচ করেন। এর আগে কোনও ম্যাচে বুমরাহ এত রান খরচ করেননি। ২০১৫ সালে দিল্লির বিরুদ্ধে তিনি ৫৫ রান খরচ করেছিলেন।

Advertisement