Homeসব খবরবিনোদনবুবলীর কাছে হেরে গেলেন অপু!

বুবলীর কাছে হেরে গেলেন অপু!

চলচ্চিত্র অঙ্গনে দুই চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী। কাজ দিয়ে দু’জনেই জয় করেছেন সিনেমাপ্রেমীদের মন। দু’জনের ভক্তকুলের সংখ্যাও নেহাত কম না। আর দু’জনেই অভিনয়ের পাশাপাশি সামাজিক নানা কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আছেন। বুবলীর কাছে হেরে গেলেন অপু বিশ্বাস! এবার ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ৮ সিনেমার মধ্যে আছে অপু-বুবলীর সিনেমা।

ঈদে মুক্তি পেয়েছে অপু বিশ্বাস ও জয় চৌধুরীর সিনেমা ‘প্রেম প্রীতির বন্ধন’। দেশের প্রায় ৯টি হলে মুক্তি পায় এটি। তবে খুব একটা আওয়াজ তুলতে পারেনি সিনেমাটি।

অন্যদিকে ঈদে দুটি সিনেমা নিয়ে দর্শকদের সামনে এসেছেন বুবলী। তার অভিনীত সিনেমাগুলো হলো- ‘লিডার আমি বাংলাদেশ’ ও ‘লোকাল’। এর মধ্যে ‘লিডার আমি বাংলাদেশ’-এ তার বিপরীতে আছেন শাকিব খান আর ‘লোকাল’ সিনেমায় দেখা গেছে চিত্রনায়ক আদর আজাদকে।

শুরুতে সিনেমা দুটি ১০০ ও ১২টি হলে পেলেও দ্বিতীয় সপ্তাহে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০২ ও ১৪-তে। আর ‘প্রেম প্রীতির বন্ধন’র চেয়ে ‘লিডার আমি বাংলাদেশ’ ও ‘লোকাল’র আওয়াজও অনেক বেশি। দর্শকদের কথায়, ‘লিডার আমি বাংলাদেশ’ দারুণ হয়েছে। আর ‘লোকাল’র গল্পটা তাদের মন ছুঁয়ে গেছে। দর্শকদের কথা ভেবে হল মালিকরাও সিনেমাগুলো চালাচ্ছে তাদের বড় পর্দায়।

এদিকে, ৮ সিনেমার ভিড়ে ঠিকমত হল পায়নি ‘প্রেম প্রীতির বন্ধন’। ভালো গল্প হলেও দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে সিনেমাটি। বিষয়টি নিয়ে কিছুদিন আগে কথা বলেন এর প্রযোজক ও পরিচালক সোলায়মান আলী লেবু। শুধু তাই নয়, ফেসবুকে তার একটি কান্নার ভিডিও ভারাইল হয়।

যেখানে কাঁদতে কাঁদতে এই নির্মাতাকে বলতে দেখা গেছে, ‘আমি দর্শকদের বারবার অনুরোধ করছি, আপনারা আরও ছবি দেখছেন। আমার ছবিটাও দেখেন। দেখার পর যদি ছবিটা ভালো লাগে তাহলে একটু বলবেন, ছবিটা ভালো হয়েছে। এই অনুরোধটা দর্শকদের প্রতি আমার। আপনাদের হাতে-পায়ে ধরে বলছি, আজ হল পাইনি বলে ছবিটি আপনাদের দেখাতে পারছি না।’

জানা গেছে, ‘প্রেম প্রীতির বন্ধন’র প্রচারণায় নির্মাতা ও নায়ক ব্যস্ত সময় পার করলেও সেখানে নেই অপু বিশ্বাস। আর নতুন করে হল পাওয়া কথা থাকলেও, তার সংখ্যা বাড়েনি। অন্যদিকে ‘লিডার আমি বাংলাদেশ’র প্রচারণা চলছে নায়ক শাকিব খান ছাড়াই। তবে ‘লোকাল’র প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন আদর আজাদ ও বুবলী দু’জনেই।

‘লিডার’র পাশাপাশি ‘লোকাল’ও খুব ভালো যাচ্ছে। যা নিয়ে কথা বলেছেন এর নির্মাতা সাইফ চন্দন। তার ভাষ্য, ‘ঈদে ছবিটি ১১টি সিনেমা হলে মুক্তি চূড়ান্ত হয়। কিন্তু চাঁদরাতে আরও ১টি হল যুক্ত হয়। মুক্তির পরই ছবিটি নিয়ে বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছি। হল মালিকরাও ছবিটি চালাতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। তাই দ্বিতীয় সপ্তাহ এসে ২টি হল আমরা পেয়েছি। আগামী সপ্তাহে এর সংখ্যা আরও বাড়বে।’

‘লিডার আমি বাংলাদেশ’র নির্মাতা তপু খান বলেন, ‘গেল শুক্রবার আমরা কুষ্টিয়ায় গিয়েছিলাম হল পরিদর্শনে। এক কথায় অসাধারণ সাড়া পেয়েছি। শো ছিল হাউসফুল। ঈদে আমার ছবিটি ১০০ হলে মুক্তি পেলেও, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০২-এ।

দর্শকরা ছবিটি খুব আগ্রহ নিয়ে দেখছে। এর গল্প পারিবারিক ও বিনোদন দেওয়ার মতো। যে কারণে দর্শক সংখ্যা দিনকে দিন বেড়েই যাচ্ছে। আরও একটি বিষয় খুব ভালো লেগেছে, দর্শক পরিবার নিয়ে হলমুখী হচ্ছেন। এটা বাংলা সিনেমার জন্য অনেক বড় সুসংবাদ।’

হল রিপোর্ট থেকে জানা যায়, অপুর সিনেমার চেয়ে বুবলীর দুটি সিনেমাই ভালো যাচ্ছে। আগামীতে বুবলীর সিনেমাগুলোর হল সংখ্যা আরও বাড়বে।

Advertisement