Homeসব খবরবিনোদনবারবার বাবার মুখটাই চোখের সামনে ভেসে উঠছে : চঞ্চল...

বারবার বাবার মুখটাই চোখের সামনে ভেসে উঠছে : চঞ্চল চৌধুরী

গেল বছর ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর বাবা রাধা গোবিন্দ চৌধুরী (৯০)। বাবাকে নিয়ে আবারও আবেগঘন পোস্ট দিলেন এপার-ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। বাবার স্মৃতি থেকে কোনভাবেই বের হতে পারছেন না এই অভিনেতা। যেন এখনো বাবার স্মৃতিতেই ডুবে আছেন তিনি।

বাবার মৃ’ত্যুর পর তাকে নিয়ে প্রায়ই স্মৃতিচারণ করছেন চঞ্চল চৌধুরী। এখনও ভুলতে পারেননি বাবা হারানোর ব্যথা। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি ) কলকাতার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন চঞ্চল চৌধুরী। এর আগে বাবাকে নিয়ে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দেন তিনি। চঞ্চল চৌধুরীর সেই স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো-

যখনই কোন কাজে দেশের বাইরে যাই, প্লেন ছাড়ার আগে বাবা মা’র সাথে ফোনে কথা বলে বিদায় নিই। আজও যাচ্ছি, কিন্তু আর কোনোদিন বাবাকে ফোন করে বলা হবে না। জিজ্ঞাস করা হবে না, ‘বাবা,তোমার জন্য কি আনব?’ বাবার একটাই উত্তর, ‘চেইনের ঘড়ি।’

শেষবার বাবার জন্য পছন্দ হয়েছিল বলে একসাথে দুটো ঘড়ি এনেছিলাম। ঘড়ি দুটো আর বাবার হাতে দেওয়া হয়নি। তার আগেই বাবা সকল সময়ের হিসেব নিকেশ মিটিয়ে আকাশের তারা হয়ে গেলো। জাগতিক সময়ের বেড়াজাল পেরিয়ে আমাদের বাবা অসীম সময়ের যাত্রী হয়ে গেলেও, বাবার ঘড়ির কাটাগুলো এখনও টিক টিক করে আমারই ঘরে।

আজও রওনা হয়েছি কলকাতার পথে। উদ্দেশ্য ‘মৃনাল সেন’…‘পদাতিক’ সৃজিত মুখার্জির সিনেমায় অভিনয়। কিংবদন্তি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন ‘পদাতিক’ এর জন্য তার ফেসবুক পেজ থেকে শুভকামনা জানিয়েছেন এক সপ্তাহ আগেই। তার প্রতি আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম এবং কৃতজ্ঞতা। এটা আমার জন্য অনেক বড় প্রেরণা এবং আশীর্বাদ।

আমার শুভানুধ্যায়ীরা অনেকেই অমিতাভ জী’র সেই পোস্টটি শেয়ার করে আনন্দ আশীর্বাদের অংশীদারও হয়েছেন। বাবার মৃ’ত্যু আমাকে এতটাই মানসিকভাবে দূর্বল করে দিয়েছে যে, কোন আনন্দেই আমি শান্ত্বনা পাচ্ছি না। কয়েকদিন আগে ‘মৃনাল সেন’ এর ফার্স্টলুক প্রকাশ পাওয়ার পরেও আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের উচ্ছ্বাস দেখে আপ্লুত হয়েছি। এত এত মানুষের আশীর্বাদ আর ভালোবাসা নিয়ে যখন নতুন কর্মযজ্ঞে অংশ নিতে চলেছি, তখন বারবার বাবার মুখটাই চোখের সামনে ভেসে উঠছে। আর চোখদুটো বাঁধ না মানা জলে ভরে উঠছে।

আমার বিশ্বাস, বাবা সব দেখতে পাচ্ছে। আর তার আশীর্বাদের হাত দুটো আমার মাথায় বুলিয়ে দিচ্ছে। অনেক গুরুদ্বায়িত্ব আমার কাঁধে। সফল হলে আমার সকল শুভাকাঙ্ক্ষী অনেক খুশি হবেন, আমার বিশ্বাস। বাবার আশীর্বাদ আর শক্তি এবং সকলের প্রেরণায় এগিয়ে চলি নতুন পথে।

Advertisement