Homeসব খবরজেলার খবরফুল বিক্রি করেই শহিদুলের আয় ৪ লাখ টাকা

ফুল বিক্রি করেই শহিদুলের আয় ৪ লাখ টাকা

পলিনেট হাউজ নামের চাষাবাদ পদ্ধতিতে যে কোনো মৌসুমের সবজি বা ফুল চাষ করা সম্ভব। এতে কৃষকও লাভবান হবেন। অন্যদিকে স্থানীয় সবজি ও ফুলের চাহিদা মিটিয়ে সারা দেশে বাজারজাত করা যাবে। শীতকালীন সবজির পাশাপাশি ফুল চাষ করে নতুন স্বপ্ন দেখছেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কৃষকরা।

প্রাথমিক ভাবে প্রকল্পের আওতায় ২৫ শতক জমির ওপর স্থাপন করা হয় পলিনেট হাউজ। আর এতে ব্যবহার করা হয় উন্নতমানের পলি ওয়ালপেপার। পলিপেপার ও লোহা দিয়ে তিনটি শেডে এ হাউজ নির্মাণ করা হয়। সব মিলিয়ে ব্যয় হয় প্রায় ১৫ লাখ টাকা। এ পদ্ধতিতে শীতকালীন সবজির পাশাপাশি ফুল চাষ করে নতুন স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা। প্রথম দিক দিয়ে খরচ একটু বেশি হলেও এর ফল পাওয়া যাবে ২০ বছর পর্যন্ত।

শহিদুল ইসলাম বলেন, পলিনেট হাউজে সবজির পাশাপাশি ফুল চাষ করছি। এই পদ্ধতিতে সব মিলিয়ে আমার খরচ হয়েছে প্রায় ৬ লাখ টাকা। আমার পলিনেট হাউজে চাষ হচ্ছে গোলাপ, চন্দ্রমল্লিকা, জারবেরা, গাজর, মুলা ও ধনিয়ার চাষ করেছি। আমার হাউজে এখন লাল, নীল, সাদা, হলুদসহ নানা রঙের ফুলে বড়ে গেছে। নিজ জেলার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলায় এই ফুল পাইকারি বিক্রি করছয়া। ফুলের বাম্পার ফলন হওয়ায় এর মধ্যে ১০ লাখ টাকার ফুল বিক্রি করেছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার সাদাত বলেন, পলিনেট হাউজ পদ্ধতিতে যে কোনো সময়ে সবজি বা ফুল চাষ করা যায়। চাষিরা এ পদ্ধতিতে চাষ করে স্থানীয় সবজি ও ফুলের চাহিদা মিটিয়ে সারা দেশে বাজারজাত করা সম্ভব। এতে কৃষক যে কোন সময় সবজি এবং ফুল চাষ করে লাভবান হতে পারে।

Advertisement