Homeসব খবরজেলার খবরফজরের নামাজের জন্য ডাকতে গিয়ে বাবা দেখলেন ফ্যানে ঝুলছে...

ফজরের নামাজের জন্য ডাকতে গিয়ে বাবা দেখলেন ফ্যানে ঝুলছে ছেলে!

বগুড়ার শাজাহানপুরে মা-বাবার উপর অভিমান করে মুবতাসিন ফুয়াদ ওরফে প্রীতম (১৬) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। প্রীতম উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের কাঁটাবাড়িয়া মধ্যপাড়া গ্রামের এনামুল হকের ছেলে। তাদের গ্রামের বাড়ি একই ইউনিয়নের পদ্মপাড়া গ্রামে।

বুধবার (০৯ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের হাতে মরদেহ হস্তান্তর করেছে পুলিশ। প্রীতম বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমি ল্যাবরেটরি স্কুল এ্যান্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। প্রীতমের বাবা এনামুল হক বগুড়া সদরে যুব উন্নয়ন অফিসে চাকরি করেন। মা ইয়াসমিন বেগম উপজেলার তালপুকুর দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষিকা।

প্রীতমের বাবা এনামুল হক জানান, মঙ্গলবার রাতে ছেলেকে সাথে নিয়ে এশার নামাজ পড়েন। এরপর পরিবারে সবাই মিলে রাতের খাবার খান। রাত ১১ টার দিকে প্রীতম ঘরে ঘুমাতে যায়। ভোরে ফজর নামাজের জন্য ছেলেকে ডাকতে গিযে ঘরের দরজা ও জানালা বন্ধ দেখতে পান। অনেক ডাকাডাকির পরও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে ছেলেকে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় রশি দিয়ে ঝুলে থাকতে দেখেন।

প্রতিবেশীরা জানান, প্রীতমকে খুব শাসনের উপর রাখতো তার বাবা-মা। লেখাপড়ার চাপ দিত তারা। বাহিরে বের হতে দিত না। গত রাতে ছেলেকে বাড়ির বাহিরে দেখে বাবা তাকে বকাঝকা করেন। সঠিক কী কারণে সে আত্মহত্যা করেছে তা তারা জানেন না।

শাজাহানপুর থানার ওসি (তদন্ত) নান্নু খান জানান, মা-বাবার উপর অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে প্রীতম। প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের হাতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

সূত্র: কালের কণ্ঠ অনলাইন।

Advertisement