নাটোরের দুটি পৌরসভায় লকডাউনের প্রথম দিন কঠোরভাবে পালিত হচ্ছে। কাঁচা পণ্য,ওষুধ ও মুদিখানা দোকান ছাড়া সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। রাস্তায় রাস্তায় টহল দিচ্ছে পুলিশ ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম। সন্দেহ জনক লোকজনকে রাস্তায় বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। উত্তর সন্তোষজনক না হলে তাদের জরিমানা করা হচ্ছে।
বুধবার (৯ জুন) সকাল ৭টা থেকে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা এবং ৯টার দিকে নাটোরের জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ সরজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে লকডাউন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। তারা লকডাউন সফল করতে নানা পরার্মশ দেন।
অপরদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় নাটোর হাসপাতালে শহরের আলাইপুর এলাকার রমজান আলী নামে এক বৃদ্ধের করোনায় সংক্রমন জনিত মৃত্যু এবং করোনার ৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪৪ জনের শরীরে সংক্রমন শনাক্ত হয়। আক্রান্তের হার ৫০ শতাংশ। নাটোরের সিভিল সার্জন কাজী মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নাটোরের জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ বলেন, করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এই লকডাউন সফল করতে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, পুলিশ লকডাউন সফল করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ব্যারিয়ার তৈরি করে লোকজনকে বাইরে আসার কারণ জ্ঞিাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এই লকডাউন সফল করতে না পারলে আমার কঠিন মূল্য দিতে হবে। এই কারণে সকলকে বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বাইরে না আসতে অনুরোধ জানান তিনি।