Homeসব খবরজেলার খবরপ্রথমবারের মত রপ্তানি হলো তরমুজ

প্রথমবারের মত রপ্তানি হলো তরমুজ

গতকাল বৃহস্পতিবার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কনটেইনারে করে তরমুজের চালানটি জাহাজে তুলে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা দেবে জাহাজটি। প্রথম চালানে তরমুজ রপ্তানি হয়েছে ১৩ হাজার ৩২০ কেজি। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মত মালয়েশিয়ায় রপ্তানি হলো তরমুজ।

তরমুজের প্রথম চালানটি রপ্তানি করেছে চট্টগ্রামের হালিশহরের সাত্তার ইন্টারন্যাশনাল। এ বিষয়ে সাত্তার ইন্টারন্যাশনালের কর্ণধার আবদুল কাইয়ূম গণমাধ্যমকে বলেন, বগুড়ার শিবগঞ্জের কৃষকদের থেকে এই তরমুজ সংগ্রহ করে রপ্তানি করেছি। তিনি বলেন, দেশে তরমুজের ফলন বাড়ছে। অপ্রচলিত এই পণ্যের রপ্তানির বাজার ধরা গেলে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে। এতে রপ্তানি আয় হবে প্রায় চার হাজার ডলার।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, কয়েক বছর ধরে দেশে ধারাবাহিকভাবে তরমুজের ফলন বাড়ছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে তরমুজের উৎপাদন হয় পাঁচ লাখ ৫০ হাজার টন। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে উৎপাদিত হয়েছিল ৩ লাখ ৪৫ হাজার টন। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর গত আট বছরের তথ্যে দেখা যায়, এ সময় দেশ থেকে কোনো তরমুজ রপ্তানি হয়নি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে উৎপাদন ছিল আড়াই লাখ টন।

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের উদ্ভিদ সংঘনিরোধ কেন্দ্রের সংঘনিরোধ রোগতত্ত্ববিদ সৈয়দ মুনিরুল হক বলেন, সমুদ্রবন্দর দিয়ে রপ্তানি হওয়া তরমুজের এটিই প্রথম চালান। এর আগে কখনো তরমুজ রপ্তানি হয়নি।

বাজার গবেষণাকারী সংস্থাগুলোর হিসাবে, বিশ্বে তরমুজের বাজার প্রায় ২ বিলিয়ন বা ২০০ কোটি ডলারের। ২০২১ সালে বিশ্বে ২১৬ কোটি ডলারের তরমুজ রপ্তানি হয়েছে। রপ্তানির পরিমাণ ছিল প্রায় ৭৭ লাখ টন। আমদানিকারকের তালিকায় রয়েছে আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলো। শীর্ষ রপ্তানিকারকের তালিকায় রয়েছে স্পেন ও মরক্কো।

Advertisement