এ জেলায় উৎপাদিত পেঁয়াজ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশজুড়ে সরবরাহ করা হয়। চলতি মৌসুমেও ফলন হয়েছে বাম্পার। বাজারে পেঁয়াজের দাম ভালো থাকায় মানিকগঞ্জ পেঁয়াজ চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। পেঁয়াজ উৎপাদনে মানিকগঞ্জ দেশে প্রথম স্থানে রয়েছে। এই জেলায় তিন ধরনের পেঁয়াজ চাষ হয়। একই জমিতে দুই বার পেঁয়াজ আবাদ করে কৃষকরা অধিক লাভবান হচ্ছেন বলে জানায় কৃষি বিভাগ।
এ মৌসুমে উচ্চ ফলনশীল জাতের লালতীর কিং, বারি পেঁয়াজ-১, বারি-৪ পেঁয়াজসহ দেশি জাতের পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। এসব জাতের পেঁয়াজের সাদ গন্ধ হুবহু দেশি পেঁয়াজের মত। এ ছাড়া কৃষকরা এসব জাতের পেঁয়াজের বাজার মূল্য ভালো পায় এবং এটির সংরক্ষণ করতেও বেশ সুবিধা। আর সেই পেঁয়াজের পাতা ছাড়িয়ে বিক্রি উপযোগী করছেন কৃষাণি ও পরিবারের ছোটো ছোটো ছেলে মেয়েরা। মাঠের পর মাঠ পেঁয়াজের ক্ষেত। ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ তুলছেন কিছু কৃষক।
পেঁয়াজ চাষি সিরাজুল বলেন, আমি ১ বিঘা জমিতে পিঁয়াজ চাষ করেছি আল্লাহ্ তায়া’লার রহমতে অনেক ভালো ফলন হয়েছে দামও ভালোই পাচ্ছি। আমার এ বছর প্রতি শতাংশ জমিতে প্রায় আরাই মন পেঁয়াজ হয়েছে।
আরেক পেঁয়াজ চাষি পরিমল বলেন, আমি এ বছর প্রায় সাড়ে ৩ বিঘা জমিতে লালতীর কিং জাতের পেঁয়াজ চাষ করেছি। যা থেকে প্রায় ১৩৫ থেকে ১৫০ মণ পেঁয়াজ পাওয়ার পাশপাশি ভালো দামে বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবু মো. এনায়েত উল্লাহ বলেন, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জেলায় পেঁয়াজের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। এ মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকার কারণে পেঁয়াজের কোন ক্ষতি হয়নি। ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। পেঁয়াজ চাষ সফল করতে কৃষকদের বিভিন্নভাবে পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হয়েছে।