Homeসব খবরজাতীয়নতুন দরিদ্রের হিসাব আমি স্বীকার করি না : অর্থমন্ত্রী

নতুন দরিদ্রের হিসাব আমি স্বীকার করি না : অর্থমন্ত্রী

করোনার প্রভাবে দেশে দরিদ্রের সংখ্যা বেড়েছে, এটি স্বীকার করেন না অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, পরিসংখ্যান ব্যুরো বা সরকারি সংস্থা ছাড়া নতুন দরিদ্রের এই হিসাব আমি স্বীকার করি না।

বুধবার ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, যাদের কাছে তালিকা আছে ২ কোটি বা ১ কোটি বা ১০ জন, এই তথ্য তারা কোথায় পেয়েছে, আগে তা জানা দরকার। তাছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে কোনো দুর্বলতা নেই বলেও দাবি করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে কোনো দুর্বলতা নেই। বাজেট বাস্তবায়ন শুরু হলে, উপকারভোগী কারা, তা বোঝা যাবে। বিশ্বব্যাংকের জিডিপি পূর্বাভাস সঠিক নয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অর্থবছর শেষে দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে বাংলাদেশের।

এদিকে গত দেড় বছরের বেশি সময় ধরে চলতে থাকা করোনা মহামারিতে কাজ হারিয়েছেন লাখো মানুষ। দেশের বিভিন্ন বেসরকারি গবেষণা সংস্থার হিসেবে, এসময় নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে দেড় থেকে দুই কোটি মানুষ।

কিন্তু, গত বৃহস্পতিবার বাজেট বক্তৃতা দেয়ার সময় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, মহামারিতে দেশে দারিদ্র্য পরিস্থিতি বিপর্যয়ের পর্যায়ে যায়নি। নতুন দরিদ্রদের জন্য আলাদা কোনো তহবিলও গঠন করা হয়নি বাজেটে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানের তথ্য ছাড়া বেসরকারি সংস্থার হিসেব তিনি আমলে নেবেন না।

অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রথমে আমাকে বলতে হবে কোন কোন জায়গায় আপনারা ব্যত্যয় দেখেছেন। পুরো তালিকা আমাকে দিতে হবে। সেগুলো দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। আমরা বিশ্বাস করি এবং প্রধানমন্ত্রীও নির্দেশ দিয়েছেন যে নিম্ন আয়ের মানুষদের চিহ্নিত করতে হবে।

আর এটা যদি করতে পারি এবং অর্থনীতির মূল ধারায় নিয়ে আসতে পারি, তাহলে ভবিষ্যতে আমাদের অর্থনীতি আরও সমৃদ্ধ হবে। এ নীতিতে আমরা বিশ্বাস করি এবং সেভাবে কাজ করে যাচ্ছি বলেও জানান মুস্তফা কামাল।

সম্প্রতি বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) এক জরিপের ফলাফল বলছে, কোভিডের আঘাতে দেশে নতুন করে দরিদ্র হয়েছে ২ কোটি ৪৫ লাখ মানুষ। ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশে এই নতুন দরিদ্র শ্রেণির সংখ্যা জনসংখ্যার ১৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ হয়েছে, যা ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত ছিল ২১ দশমিক ২৪ শতাংশ। তবে, বেসরকারি সংস্থাগুলোর করা এই নতুন জরিপের দরিদ্রের হিসাব মানতে একেবারে নারাজ অর্থমন্ত্রী।

২৫৭৯ কোটি ৩০ লাখ টাকায় ১১ ক্রয়প্রস্তাব অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এর মধ্যে আছে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার এর জন্য প্রযুক্তি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের প্রস্তাব।

Advertisement