Homeসব খবরবিনোদনদেশে হিন্দি ছবি আনার পক্ষে আমরা : রিয়াজ

দেশে হিন্দি ছবি আনার পক্ষে আমরা : রিয়াজ

শনিবার দেশে হিন্দি ছবি আমদানি করে প্রদর্শনের পক্ষে এফডিসিস্থ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সমিতির নেতারা বৈঠকে বসেন। সেই বেঠক শেষে নায়ক রিয়াজ বলেন, আমি নির্দিস্ট একটা সময় পর্যন্ত হিন্দি ছবি চালানোর পক্ষে। এটা করতে পারলে হল সচল হবে। সেই সচল হলে ব্যবসা করতে অনেক প্রযোজকই ফিরে আসবে নতুন নতুন সিনেমা বানাতে।

দেশে সিনেমা হল সচল করতে ও সিনেমা হলের সংখ্যা বাড়াতে ভারতীয় হিন্দি ছবি আমাদনি করে প্রদর্শনের পক্ষে মন্তব্য করেছেন দেশের জনপ্রিয় নায়ক রিয়াজ।

রিয়াজ বলেন, মিটিংয়ে আলোচনার বিষয় ছিল হল বাড়ানো। আমাদের ১২ হল থেকে এখন কমতে কমতে হল সংখ্যা ৫০-৬০টিতে এসে দাঁড়িয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে হয়তো একটা হলও থাকবে না। আমাদের সব সমিতির কথা হচ্ছে এখন আপাতত হল বাঁচতে হবে। মানুষকে হলে আনার অভ্যাস করাতে হবে। এই জন্য দেশের বাইরের ভালো ভালো কন্টেন্ট এনে হলেও হল সচল করতে হবে। তাই সব সমিতি মিলে নির্দিষ্ট একটা সময় পর্যন্ত এই হিন্দি ছবি চালানোর পক্ষে রয়েছে। এটা নিয়েই শিগরিই সম্মিলিত সিদ্ধান্ত জানাবে সমিতি।

দেশের সিনেমা হলগুলো সচল রাখতে হিন্দি ছবি প্রদর্শনের প্রস্তাব উঠেছে বেশ কয়েক বছর আগেই। গেল বছর এ ব্যাপারে ঐক্যমতে পৌঁছেন চলচ্চিত্র প্রদর্শক, প্রযোজক ও পরিচালক সমিতির নেতারা। তবে বছর খানেক ধরে সেই প্রস্তাব নিষ্পাণ হয়ে রয়েছে। এবার শাহরুখ খানের ‘পাঠান’ বাংলাদেশে মুক্তি ইস্যুতে আবার সরব হয়েছে সেই দাবি। এই দাবির পক্ষে অনেকে থাকলেও অনেকেই আবার বিপক্ষে মত দিয়েছেন। তারা বলছেন হিন্দি ছবি দেশে আনলে দেশের চলচ্চিত্র ইন্ডাষ্ট্রি ধ্বং’স হয়ে যাবে।

রিয়াজ আরও বললেন, ‘যারা বলছেন তারা সবাই তাদের ব্যক্তিগত মতামত দিচ্ছে। তাদের ব্যক্তিগত মতামত নিয়ে আমি কোনো কথা বলতে চাই না। তবে আমি মনে করি এখন সোশ্যাল মাধ্যমের যুগ। এখন দর্শক অনেক গুরুত্বপূর্ণ।দর্শকরা জানে কাদের কারণে হল বন্ধ হয়েছে। এখন যদি তারাই হল বন্ধের কথা বলে, চলচ্চিত্র ইন্ডাষ্ট্রি ধ্বংসের কথা বলে সেটা হাস্যকরই লাগে।’

রিয়াজ বলেন, ‘আমি বিশেষভাবে পাঠান ছবির বেলায় বলতে চাই না। আবার হিন্দি ছবির কথাও বিশেষভাবে বলতে চাই না। আমি এমন কিছু চাই যাতে করে আমাদের সিনেমা হলটা বাঁচে। সিনেমা হলে প্রযোজক যেনো না বলে আমি একটা বাংলা ছবি চালিয়েছি কিন্তু দুপুরের শোতে মাত্র ২ জন দর্শক। আমি কিভাবে আমার টাকাটা তুলবো। আামাকে তো হলটা বন্ধ করে দিতে হবে। আমরা হয়তো ওই লেবেলে কন্টেন্ট বানাতে পারিনা। কিন্তু আমরা অদূর ভবিষ্যতে হয়তো ওই ধরণের কণ্টেন্ট বানাতে পারব।

Advertisement