Homeসব খবরক্রিকেটজাতীয় দলে না থাকলে অনেক অবহেলা, উপেক্ষা সহ্য করতে...

জাতীয় দলে না থাকলে অনেক অবহেলা, উপেক্ষা সহ্য করতে হয় : তাসকিন

যদিও সম্প্রতি শ্রীলঙ্কা টেস্টে হেরে যায় বাংলাদেশ। তবে সিরিজে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি নিঃসন্দেহে তাসকিন আহমেদের বোলিং। কঠিন কন্ডিশন ও উইকেটে যে মানের ফাস্ট বোলিংয়ের প্রদর্শনী তিনি মেলে ধরেছেন, বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে তা বিরল। এই চেহারায় তার আবির্ভূত হওয়ার পেছনে আছে হাড়ভাঙা খাটুনি, অধ্যাবসায় আর প্রতিজ্ঞার গল্প।

প্রশ্ন: আপনার যে লাইফ-স্টাইল ছিল, সেখান থেকে শৃঙ্খলাবদ্ধ এই কষ্টকর প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যাওয়া কতটা কঠিন ছিল? তখন প্রেরণার জ্বালানী কি ছিল?

তাসকিন: অনেক কষ্টকর ছিল। তবে প্রেরণার অভাব ছিল না। সবচেয়ে বড় প্রেরণা ছিল ‘অবহেলা।’ জাতীয় দলে না থাকলে অনেক অবহেলা, উপেক্ষা সহ্য করতে হয়। মাঠে, মাঠের বাইরে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়স্বজন, সবারই ব্যবহার বদলে যায়।

এখন মনে হয়, ওই বাদ পড়া, অমন খারাপ সময় এসে ভালোই হয়েছে। দুনিয়া চিনতে পেরেছি। যা হয়, ভালোর জন্যই হয়। ম্যাশ ভাইও (মাশরাফি বিন মুর্তজা) আমার অনেক বড় প্রেরণা সবসময়। উনি বলতেন, ‘এটা কর, ওটা দ্যাখ…।’

প্রশ্ন: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তখন আপনার ফিটনেস ট্রেনিং নিয়ে ট্রল হয়েছে বেশ। আপনারও চোখে পড়েছে নিশ্চয়ই?

তাসকিন: হ্যাঁ, খারাপ লেগেছে। মন খারাপ হয়েছে। পরে নিজেই বুঝেছি, সমস্যা নেই। যারা ট্রল করছে, করুক। এটা আমার নিয়ন্ত্রণে নেই। আমি যদি ভালো করতে পারি, এখন ট্রল করা লোকগুলোই হয়তো বাহবা দেবে।

প্রশ্ন: জলন্ত কয়লার ওপর দিয়ে হাঁটছেন, আপনার এরকম একটা ভিডিও নিয়েও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক ট্রল হয়েছিল…

তাসকিন: ওটা ছিল মাইন্ড ট্রেনিংয়ের অংশ। এক সপ্তাহ পরেই সিরিজ ছিল, ওই অবস্থায় ওটার ওপর দিয়ে হেঁটে যাওয়া ছির মেন্টাল ব্রেক থ্রু আনার জন্য, সাহসের জন্য। এমনিতে এটা কিন্তু বড় কোনো কিছু নয়, চট করে হেঁটে গেলে কিছু হয় না। কিন্তু যাওয়ার জন্য যে সাহস দরকার, সেটা অর্জন করাই চ্যালেঞ্জের। পা পুড়তে পারত, অনেক কিছু হতে পারত।

নিউ জিল্যান্ডে আমি বাঞ্জি জাম্প দিয়েছিলাম, এটা নিয়েও ট্রল হয়েছে। কিন্তু এটাও ছিল মাইন্ড ট্রেনিংয়ের অংশ, মাইন্ড ট্রেনারই বলেছিলেন করতে। মেন্টাল ব্রেক থ্রুর ব্যাপারটা হলো, চাপের মধ্যে ভয়গুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে এটা সহায়তা করে। এটা করলেই যে বীর হয়ে গেলাম, তা নয়। তবে উন্নতি হবে। চাপের মুহূর্তে যদি অন্যদের চেয়ে শতকরা এক-দুই ভাগও এগিয়ে রাখতে পারি, সেটাই তো বাড়তি সুবিধা। এসবেরই চেষ্টা এটা।

Advertisement